ঈদের পরদিন কিংবা একদিন পরই অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল এবারে বসতে যাচ্ছে আবদুল জব্বারের বলি খেলা। এবারের আসরটি বলি খেলার ১১৪তম আসর। আর এই আসরটি চট্টগ্রামের মানুষের জন্য ঈদ আনন্দ উৎসব হিসেবে আসছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল এই বলি খেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র জানান ঐতিহ্য রক্ষা করতে ঈদের পরদিন এই বলি খেলার আয়োজন করতে হচ্ছে। আগের বারের মত লালদীঘি সার্কেলে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বলি খেলা। যেহেতু লালদীঘি মাঠে কোন ধরনের মেলা কিংবা মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমন কিছু
করা যাবেনা। তাই মাঠের বাইরে অনুষ্ঠিত হবে এই বলি খেলা। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বলি খেলাকে ঘিরে দেশের মানুষের মধ্যে আনন্দ, উৎসাহ বিরাজ করলেও এবারে বেশিরভাগ মানুষ সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই শহর ছেড়ে চলে যাবে গ্রামে। আর সে সময়ে
কেন এই বলি খেলা তার কোন সদুত্তর অবশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া জব্বারের বলি খেলার পরিচালনা নিয়ে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠছে। খেলা পরিচালনার পদ্ধতি কিংবা বিজয়ী ঘোষণা কিংবা পয়েন্ট পদ্ধতি সবই মনগড়া। যার সমালোচনা চলে সব সময়। যদিও এবারের আসরেও তার তেমন সুরাহা
হবে বলে মনে করছেন না অনেকেই। যদিও সিটি মেয়র বললেন কিভাবে এই বলি খেলা পরিচালিত হবে তা নিয়ে সবার সাথে বসা উচিত। যাতে করে কোন ধরনের ভুল বুঝাবুঝি না থাকে। কিন্তু কে বসবে। আর কেই বা বাধবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম
চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামে একটি বলি খেলা প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর তার জন্য একটি সুর্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বলি খেলার কোন প্রশিক্ষণ একাডেমি কোথাও আছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেনি সিটি মেয়র কিংবা সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বলি খেলা প্রশিক্ষণ একাডেমি
প্রতিষ্ঠা করতে চান তারা। তবে সিটি মেয়র বলেন অতীতে কি হয়েছে সে সব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। সামনে থেকে কিভাবে পরিচ্ছন্নতার সাথে এই বলি খেলা সম্পন্ন করা যায় সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতার ঐতিহ্য রক্ষা করাটাই এখন সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন
সিটি মেয়র। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বলি খেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, স্থানীয়
মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ নজরুল ইসলাম, আকতার আনোয়ার চঞ্চল, সিজেকেএস কাউন্সিলর আলি হাসান রাজুসহ কর্মকর্তারা।
        











