২৩ সালে ২৩ লাখ। চমৎকার শিরোনাম। কাজটি তার চাইতেও চমৎকার। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০২৩ সালে সারা চট্টগ্রামে ২৩ লাখ গাছের চারা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যদি বলি মূল উদ্যোক্তা কে তাহলে বলতে হবে একজনের নাম। তিনি আমাদের সম্মানিত জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। ইতিমধ্যে তাঁর আউটার স্টেডিয়ামে বিপণন মুক্ত করে খেলার মাঠে রূপান্তরিত করার বিষয়টি চট্টগ্রামকে নতুন মাত্রার দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। বিপুল সম্ভাবনা দেখছি নতুন নতুন ইকবাল খান, আকরাম, তামিম, নাফিজ, আফতাব তৈরি হওয়ার।
আমার বড় ভাই ফখরুজ্জামানকে নিয়ে খুব গর্ব করেন। কারণ ফখরুজ্জামান প্রফেসর আবদুল মান্নান এর সরাসরি ছাত্র। আমিও গর্ব বোধ করি কারণ আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি তিনিও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রশাসন গাছ লাগাবে আর জনগণ ফল ভোগ করবে। প্রাকৃতিক পরিবেশে ভারসাম্য ফিরবে এটাই প্রত্যাশা। গাছ লাগালেই শুধু হয় না। সেটা পরিচর্যাও জরুরি। প্রতি বছর দেখা যায় পরিচর্যার অভাবে বিপুল সংখ্যক গাছের চারা মরে যায়। তখন বৃক্ষরোপণ শুধু আনুষ্ঠানিকতায় পরিনত হয়। এইক্ষেত্রে আমি মনে করি শুধু প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে না থেকে সমাজের মানুষকে তুমুলভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সাথে বৃক্ষরোপণ এবং তার পরিচর্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সক্রিয় করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের বৃক্ষরোপণের মত জায়গা নেই। তারা জনসচেতনতা তৈরির জন্য টবে বা ড্রামে প্রতিকী বৃক্ষরোপণ করতে পারে। মনে রাখতে হবে বৃক্ষ প্রকৃতির ফুসফুস। বৃক্ষ একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। অন্যদিকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। বৃক্ষ আমাদেরকে ছায়া দেয়, ফল দেয় ফুল দেয়, ঔষধ দেয়, আসবাব দেয়, গৃহনির্মাণের উপকরণ দেয়। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্তির তালিকা বলে শেষ করা যাবে না। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সারা চট্টগ্রামকে সবুজে ঢেকে দিক, জীবনকে সতেজ করুক এটাই প্রত্যাশা। সম্মানিত ডেপুটি কমিশনার আপনাকে অভিবাদন চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে।