২৩ বছর পরে আবারও খবরে এলেন জামাল। এবার ইসরায়েলি হামলায় পরিবার হারানো গাজার বাসিন্দা জামাল আর–দুরার কাহিনী গত মঙ্গলবার উঠে এসেছে পশ্চিম এশিয়ার নানা সংবাদমাধ্যমে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় ধারাবাহিকভাবে চলছে ইসরায়েলি সেনার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ। সেই হামলাতেই দুই ভাই, তাদের স্ত্রী এবং ভাইয়ের মেয়েকে হারিয়েছেন মাঝবয়সী জামাল।
২০০০ সালে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছিল জামালের ১১ বছরের ছেলে মুহাম্মদ আল–দুরা এবং আরও কয়েক জন আত্মীয়। হামাস–সহ কয়েকটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার জবাবে গাজা, জেরুসালেম এবং পশ্চিম তীরের বেসামরিক জনবসতিতে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করেছিল ইসরায়েল। পাশাপাশি, স্থলপথেও চলেছিল হামলা।
সে সময় ইসরায়েলি সেনার গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল জামালের পুত্রের। ইসরায়েলি সেনার গুলিবর্ষণের মুখে ছেলের প্রাণ বাঁচানোর জন্য জামালের সেই নিষ্ফল প্রচেষ্টার ছবি ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’র প্রতীক হয়ে গিয়েছিল। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, গুলি থেকে বাঁচতে পুত্রকে পাশে নিয়ে একটি কংক্রিটের ট্যাঙ্কের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন জামাল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলি গুলিতে বাবার কোলেই ঢলে পড়েছিল মুহাম্মদ আল–দুরা।
এবার গত শনিবারের ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অবশ্য সেই চেষ্টাটুকুরও সুযোগ পাননি জামাল। গত মঙ্গলবার গাজার আল আকসা মসজিদ চত্বরে আশ্রয় নেওয়া জামাল বলেন, শুধু আমার দুই ভাই, তাদের স্ত্রী আর ভাইঝি নয়, ক্ষেপণাস্ত্রে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে আমাদের পুরো পাড়ার অনেকগুলো পরিবার। মৃত্যু হয়েছে অনেক শিশুর। ঘটনাচক্রে সে সময় বাড়িতে ছিলেন না জামাল।