বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপ–প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ২৩ অগাস্ট তিনি ঢাকায় আসবেন বলে গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরের দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল ঢাকা সফরে আসার কথা ছিল ইসহাক দারের। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে দুদেশের উত্তেজনার মধ্যে তার ওই সফর স্থগিত হয়ে যায়।
গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সফরের সূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একেবারে সহজভাবে যদি আমি বলতে চাই, তাহলে বিষয়টা এ রকম যে, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ইস্যুজ আছে, স্বার্থের প্রশ্ন আছে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রশ্ন আছে। এসব মিলিয়ে যে সম্পর্ক, তার সবকিছুই টেবিলে থাকবে। কোনটা কতটুকু আমরা এগোতে পারব, সেটা আপনারা জানতে পারবেন যখন মিটিং শেষ হবে, তার পরে।’
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অন্তর্বর্তী সরকারের চেষ্টার কথা তুলে ধরে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যেটা সবসময় বলে আসছি, গত এক বছর ধরে যেটা বলে আসছি, সেটা হলো, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। এটা ওই রকম বড় কিছু না; আবার যে ইচ্ছা করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখব না, এরকম একটা সিদ্ধান্ত যেটা ছিল, সেটা থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। অন্য ১০টা দেশের সঙ্গে যেরকম সম্পর্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা সেরকম সম্পর্ক চাই এবং সেটাই কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ক্ষতিপূরণের মতো বিষয় আলোচনার টেবিলে থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিটি ইস্যুই টেবিলে থাকবে। যেটা ৫০ বছরে পারা যায়নি, সেটা যে আমরা ঝট করে ছয় মাসে পারব, এমন কোনো কথা নেই। আমরা এটা প্রাগমেটিক ওয়েতেই আগাব এবং একটা ইস্যু আরেকটা ইস্যুকে আটকে রাখবে, সেটা আমরা কখনও চাই না।’
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের যে উদ্বেগ, সেটাকে গ্রাহ্য করছেন কিনা, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্রাহ্য তো খুব শক্ত টার্ম হয়ে গেল। বিষয়টা এরকম, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আমি ডিসাইড করিনি। একইভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে, সেটাও ভারত নিশ্চয়ই ডিসাইড করবে না।’