চট্টগ্রামের রাউজান থানার একাধিক হত্যা এবং অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
দীর্ঘ ২২ বছর পর তাকে মহানগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব-৭। বছরের পর বছর বিদেশে আত্মগোপনে থাকলেও ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর দেশে ফিরেন এই সন্ত্রাসী।
নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করে রাউজানে সাঁটানো হয় পোস্টারও। তিনি দেশে ফেরার পর বিগত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। দেশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী রাউজান ফিরে লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম শুরু করে।
সর্বশেষ এক সিআইপির কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায়।
র্যাব-৭ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রাউজান থানার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন হোটেল সোনালীর সামনে অবস্থান করছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ২৪ নভেম্বর র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
তিনি রাউজান উপজেলাার ডাবুয়া ইউনিয়নের উত্তর হিংগলা গ্রামের আবদুল মোনাফের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সে সূত্রে বর্ণিত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে।
এছাড়াও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ২২ বছর চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলে জানায়।
এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক মো. আলমগীর বলেন, র্যাবের একটি দল আজিজলু হককে গ্রেপ্তার পরবর্তী থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও দাবি এই পুলিশ কর্মকর্তার।
প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারকৃত আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় হত্যা, অস্ত্র, অপহরণ, চুরি এবং ডাকাতি সংশ্লিষ্ট ১২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।