২০২৭ বিশ্বকাপ নয়, রোহিত চান যতদিন সম্ভব ততদিন খেলতে

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ১২ মার্চ, ২০২৫ at ১২:৩০ অপরাহ্ণ

এখনই অবসর নিচ্ছি না’, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল শেষেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত শার্মা। তার বিদায়ের গুঞ্জন তাই শেষ। তবে নতুন কৌতূহলের শুরুও এখান থেকে। ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কি থাকবেন বা টিকবেন তিনি? ভারতীয় অধিনায়ক জানালেন, এখন অত দূরে তিনি তাকাচ্ছেন না। তবে দারুণ সুখি এই দল ছেড়ে যাওয়ার ভাবনাও আপাতত তার নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচগুলোয় বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও আগ্রাসী শুরু এনে দিয়েছেন দলকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগের সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে খেলেছন ৯০ বলে ১১৯ রানের ইনিংস। তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন খুব একটা নেই। তবে আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গুছিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা ভাবলে, তাকে নিয়ে সংশয় আছে বটে। ২০২৭ সালের অক্টোবরনভেম্বরে হবে বিশ্বকাপ। ততদিনে তার বয়স পৌঁছে যাবে চল্লিশের কাছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পরদিন দুবাইয়ে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষে আইসিসি ডিজিটালে ভারতীয় অধিনায়ক শোনালেন ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের ভাবনা। এখনই এটা বলা কঠিন। তবে সব সম্ভাবনাই খোলা রাখছি আমি। দেখব কতটা ভালো খেলতে পারি। এই মুহূর্তে খুবই ভালো খেলছি। এই দলের সঙ্গে যা করছি, দারুণভাবে উপভোগ করছি এবং দলও আমার সঙ্গ উপভোগ করছে, যা ভালো ব্যাপার। ২০২৭ নিয়ে বলা কঠিন। কারণ এখনও অনেক দূরের পথ। তবে সব দুয়ারই খোলা রাখছি। বিদায়ের সুনির্দিষ্ট কিংবা সম্ভাব্য সময় ঠিক না করে উপভোগের আনন্দ নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি। যতদিন খেলাটা উপভোগ করছি, খেলতে পছন্দ করছি, দলের জন্য যা করার দরকার, তা করছি, আমি খেলে যাব। এটা আমাকে আনন্দ দেয়। অনেক কিছুই এখানে আসলে মিশে আছে। এতটা গর্ব এখানে আছে, দল যেভাবে খেলছেৃ এই দলটিকে ছেড়ে যেতে চাই না। আমরা এই মুহূর্তে যেভাবে খেলছি, ওদের সঙ্গে এভাবে খেলা অনেক আনন্দের ও মজার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল শেষে ভিরাট কোহলি বলেছেন, ভারতীয় দলের যে প্রতিভা ও শক্তির গভীরতা, আগামী আট বছর বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করতে পারে ভারত। তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন রোহিতও। ৮১০ বছর পরে আমরা কোথায় থাকব, জানি না। তবে পুরো ব্যাপারটিই হলো এটি, নিজেরা খেলার সময়ই শক্তির গভীরতা বাড়িয়ে নিতে হয়। গত চারপাঁচ বছরে যখনই সুযোগ হয়েছে, আমরা তরুণ ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। তারাও লুফে নিয়েছে। যখন নিয়মিত এই আলোচনা করতে হয় যে, কাকে দলে নেব আর কাকে বাদ দেব, একাদশ বাছাই কিভাবে করব, এতেই ফুটে ওঠে, দলের গভীরতা কতটা। যে ক্রিকেটাররা উঠে আসছে, যেভাবে তারা দায়িত্ব নিতে চায়, যতটা ক্ষুধা তাদের আছ, আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ খুব, খুবই নিরাপদ হাতেই আছে। তাড়না, প্রতিভা, সবই আছে তাদের। এখন ব্যাপারটি হলো স্রেফ মাঠে নেমে কাজটি করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে এক ভেন্যুতেই
পরবর্তী নিবন্ধসতীর্থদের হাতে মদের বোতল থাকায় শিরোপা উদযাপনের মঞ্চ থেকে নেমে যান শামি