২০২৩ সালে বিশ্বে রেকর্ড ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

| শুক্রবার , ১৪ জুন, ২০২৪ at ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ

২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা রেকর্ড ১১ কোটি ৭৩ লাখে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এতথ্য জানিয়েছে। বিশ্ব রাজনীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন না এলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষরা হলেন শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, সংঘাত, নিপীড়ন, বিভিন্ন ধরনের এবং ক্রমবর্ধমান জটিল ধরনের সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষ। খবর বিডিনিউজের।

সংঘাতসহিংসতাকে বাস্তুচ্যুতির অন্যতম কারণ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। বাস্তুচ্যুতির বৈশ্বিক প্রবণতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনে ইউএনএইচসিআর বলেছে, গত ১২ বছর ধরে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা বছর বছর বড়েছে। ইউএনএইচসিআরএর অনুমানিক হিসাবে, ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এবং এপ্রিলের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। নতুন সংঘাতের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়াক হাই কমিশনার গ্র্যান্ডি বলেন, আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভাগ্যবশত, এ সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকবে বলেই আমি দেখতে পাচ্ছি। যেসব সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তার মধ্যে সুদানের যুদ্ধ অন্যতম। অন্যান্য সংকটের তুলনায় সুদানের দিকে মনোযোগ কম দেওয়া হলেও গ্র্যান্ডি একে সবচেয়ে বিপর্যয়কর সংঘাতগুলোর একটি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, সংঘাতে ৯০ লাখের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর চাদ, মিশর এবং দক্ষিণ সুদানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন আরও ২০ লাখ মানুষ। নিরাপত্তার জন্য চাদে ভিড় জমানো মানুষের কথা উল্লেখ করে গ্র্যান্ডি বলেন, এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে। গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলার কারণে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের পথে ৫ মাসে পাঁচ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকাশিত সংবাদ নিয়ে চসিকের ব্যাখ্যা