বাঁশখালীর জলদী রেঞ্জে ‘দাঁত ও নখ’ নিতে বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জলদী রেঞ্জের চেচুরিয়া বিট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে ১৫ থেকে ১৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, হাতিটিকে হত্যা করে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২–এর ৩৬ (১)(২) ধারায় বাঁশখালী থানায় দায়ের করা মামলায় বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়র্াডের পূর্ব চেচুরিয়া এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন (৪৮) ও একই এলাকার মো. জাফরের (৫২) নাম উল্লেখ করা হয়।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি এলাকায় হাতি হত্যার পর দাঁত ও নখ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীর পরামর্শে মৃত হাতি থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়াতে বন বিভাগের লোকজন যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিহত বন্য হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামের চুনতি অভয়ারণ্য ও বাঁশখালীতে বিগত দিনে ২০টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুতের ফাঁদ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, অসুস্থতাসহ নানা কারণে এসব হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে বন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান। হাতি হত্যায় ঘটনায় মাত্র ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে অঞ্চলে মানুষ–হাতির সংঘাতে ৪৪ জন মানুষও মারা গেছে।
১৯৮০ সালে দেশে হাতি ছিল ৩৮০টি। ২০০০ সালে জরিপে তা কমে ২৩৯টি হয়। ২০১৬ সালের জরিপে হাতি ছিল ২৬৮টি।