মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এমনটাই জানিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আটক সু চির বিরুদ্ধে গত বুধবার মামলা করে মিয়ানমার পুলিশ। মিয়ানমারের এ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি আমদানি-রপ্তানির আইন লঙ্ঘন করেছেন, এছাড়া রাজধানী নেপিদোতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওয়াকিটকি রেডিওসহ অবৈধ যোগাযোগের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদস্যরা। গত সোমবার ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা এবং কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
বাড়ছে প্রতিবাদ, মিয়ানমারে ফেসবুক বন্ধ : এদিকে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার অজুহাতে মিয়ানমারে ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার। গতকাল তারা এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বন্ধের নির্দেশ দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ‘ব্যবহারকারীরা ভুয়া খবর ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ায় এবং ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করায় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ থাকবে’, বলেছে দেশটির যোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়। সেনাবাহিনীর এ অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে এরই মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের কর্মসূচি হয়েছে; মান্দালয়ে এক বিক্ষোভের পর তিনজনকে আটকও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফেসবুকের পাশাপাশি সামরিক জান্তা দেশটিতে ম্যাসেজিং সার্ভিস হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে রাস্তায় নেমে এটিই প্রথম প্রতিবাদ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে রাজপথের প্রতিবাদ দমনের ইতিহাস আছে মিয়ানমারের পূর্ববর্তী সামরিক জান্তাগুলোর।