রেলওয়ের দুই জোনে (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) ১৯শ গেইট কিপারের চাকরির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাশাপাশি গেইট কিপার পদটি নেয়া হচ্ছে রাজস্ব খাতে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ১ হাজার ৩৮ জন এবং পশ্চিমাঞ্চলের ৮৫১ জন গেইট কিপার বছরের পর বছর অস্থায়ীভাবে (প্রকল্পভুক্ত) লেভেলক্রসিংয়ে রেলের নিরাপত্তার স্বার্থে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের প্রকল্পের মেয়াদ চলতি জুন মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে দুই অঞ্চলের অস্থায়ী গেইট কিপারগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকুরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য দাবি-দাওয়াসহ আন্দোলন করছেন।
চলতি মাসের মধ্যে রেলওয়ের অস্থায়ী গেইট কিপারদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে গতকাল বুধবার রেল ভবনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের ‘লেভেলক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়াারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ১৯শ অস্থায়ী গেইট কিপারের চাকরির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে ‘গেইট কিপার পদ’ রাজস্ব খাতে নেয়ার জন্য পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের দুই প্রকল্প পরিচালক প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লেভেলক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শেখ নাঈমুল হক আজাদীকে জানান, পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের গেইট কিপারদের চাকরির মেয়াদ আছে চলতি জুন পর্যন্ত। সারাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এদের চাকরি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আজকের সভায় গেইট কিপারদের চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য আমরা দুই অঞ্চল থেকে প্রস্তাব করেছি। একই সাথে ‘গেইট কিপার’ পদটা রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে লেভেলক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল আজাদীকে জানান, গেইট কিপার পদে নিয়োগের সময় উল্লেখ ছিল, পদটি অস্থায়ী-প্রকল্পভূক্ত। যতদিন প্রকল্প থাকবে ততদিন তাদের চাকরি থাকবে। প্রকল্প নেই, তাদের চাকরিও নেই। কিন্তু গেইট কিপার না থাকলে তো ট্রেন চালানো যাবে না। লেভেলক্রসিংগুলো অরক্ষিত থাকবে। তবে পদটাকে রাজস্ব খাতে নেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয় আছে।









