রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান মাধ্যম মরিয়মনগর ডিসি সড়ক। মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে ইসলামপুর গাবতল পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট–বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এক সময় সড়কটি কাঁচা, খানাখন্দে ভরা। গত ১০–১৫ বছরে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে, ড্রেন নির্মাণ ও বেশকিছু কালভার্টও স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সড়কটি সরু থেকে প্রশস্তের দাবি উঠলেও বাস্তবায়ন হয়নি ১৬ বছরেও।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এ সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন–স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, হোছনাবাদ, লালানগর, দক্ষিণ রাজানগর, ইসলামপুর ও রাজানগরের দুই লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। প্রতিদিন চলাচল করে ট্রাক, অটোরিকশা, মাইক্রো, হাইস, রিকশা, মোটরসাইকেল। এমনকি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসও ছিলো এই সড়কে। এছাড়া উত্তর রাঙ্গুনিয়ার প্রায় অর্ধ শত ইটভাটায় যাতায়াত করে শত শত দ্রুতগামী জিপ। কিন্তু চলাচলের জন্য বহুল গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মাত্র ১২ ফুট প্রশস্ত। তার উপর সড়কের শান্তিনিকেতন, মোগলের হাট, আলমশাহপাড়া, ধামাইরহাট, গাবতলসহ বেশ কিছু স্থানে বাজার রয়েছে। ১২ ফুটের এই সড়ক কোন কোন জায়গায় ১০ ফুটেরও কমে এসে ঠেকেছে। তাই সড়কটি প্রশস্তের দাবি দীর্ঘদিনের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৮ সাল থেকে ৫–৬ বার সংস্কার কাজ করা হয়েছে এই সড়কে। কিন্তু বেপরোয়াভাবে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক দ্রুত ভেঙে যায়। সর্বশেষ ২০২০ সালের দিকে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে পিচঢালা, ড্রেনেজ, বিভিন্ন বাজার এলাকায় আরসিসি ঢালাই, একাধিক ব্রিজ–কালভার্ট করে সংস্কার করা হয়েছিলো। কিন্তু সড়কটি প্রশস্ত করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি বছর দুয়েক আগে এটি প্রশস্ত করে ১৮ ফুট করার জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি গাড়ির চাপের তুলনায় সরু হওয়ায় দুটি গাড়ি পাশাপাশি পাস করতে সমস্যা হয়। সর্বশেষ সংস্কারকালে ফুটপাত অংশ ভরাট না করায় পাশ থেকে সড়ক ভেঙে পড়ছে। প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এ কারণে দ্বিগুণ ভাড়াও হাঁকেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকেরা।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, এই সড়কটি ‘জেলা সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পে দেয়া আছে। অনেক আগেই এটিসহ রাঙ্গুনিয়ার কারিন্দিরানী সড়ক প্রশস্তের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মাঝখানে দেশের পট পরিবর্তনের জন্য প্রকল্পটা এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশাকরি অতিদ্রুত সড়ক প্রশস্তের প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে এবং এই সড়ক ১৮ ফুটে উন্নীত হবে।