অকেজো হওয়ার ১৬ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিনটি সচল হয়েছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন যান্ত্রিক ক্রুটি সারিয়ে গতকাল দুপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে মেশিনটি চালু করেন। এর পরপরই মেশিনটি সচল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। শনিবার (আগামীকাল) থেকে এই মেশিনের (সিটি স্ক্যান) সেবা পুরোদমে চালু হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, একটি পার্টস নষ্ট হওয়ায় গত ৬ জুন হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের এই সিটি স্ক্যান মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে। মেশিনটির দাম প্রায় ৭ কোটি টাকা। মেশিন অকেজো হওয়ায় সরকারি কম খরচের এই সিটি স্ক্যান সেবাও বন্ধ হয়ে যায় গরীবের হাসপাতাল খ্যাত চমেক হাসপাতালে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েন গরিব–অসহায় রোগীরা। হাসপাতালের কম খরচের সেবা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ বেশি ফি–তে বেসরকারি ল্যাব–ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই সেবা নিতে হচ্ছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে– পরীক্ষা ভেদে সিটি স্ক্যান বাবদ চমেক হাসপাতালে ফি ২ হাজার ও ৪ হাজার টাকা। কিন্তু চমেক হাসপাতালের ২ হাজার টাকার এ ফি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। আর হাসপাতালের চার হাজার টাকার এ ফি বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে সিটি স্ক্যান মেশিনটি স্থাপনের কাজ শুরু করে সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। স্থাপনের কাজ শেষে ২০১৯ সালের মার্চে এই সিটি স্ক্যান মেশিনের সেবা পুরোদমে চালু হয়। মেশিনটির ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়্যারেন্টি সময়সীমা আছে বলে জানান চমেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. হুমায়ুন কবীর। আর ওয়্যারেন্টি সময়সীমা থাকায় খবর দেয়ার পরপরই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসে মেশিনটি সারানোর কাজ শুরু করে বলে জানান চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
এদিকে, অচল হওয়ার ১৬ দিন পর সিটি স্ক্যান মেশিনটি সচল হলেও দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো থাকা হাসপাতালের অন্যান্য বেশ কয়টি ভারি যন্ত্রপাতি (এমআরআই, একটি ক্যাথল্যাব (এনজিওগ্রাম), ব্র্যাকিথেরাপি ও মেমোগ্রাফি মেশিন) এখনো সচল হয়নি। এসব মেশিনের সেবাও দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে হাসপাতালে।