বিদায়ী অর্থ বছরে (২০২০-২০২১) ১৫৭ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৬০ টাকা পৌরকর আদায় করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৭ শতাংশ। যা গত ২৬ টি অর্থ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার ৪৬ দশমিক ২৮ শতাংশ পূরণ হয়েছিল। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ পূরণ হয়েছিল।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঝখানে আদায় কমে গিয়েছিল। তখন কাঙ্খিত পৌরকর আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে গত মাসের শেষ দিকে ভিন্ন কৌশল নেয় সংস্থাটি। পৌরকর আদায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে বেড়ে যায় বেসরকারি পর্যায়ে আদায়।
সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পৌরকরের উপর নির্ভরশীল। নিজস্ব অর্থায়নে অনেক উন্নয়ন কাজও করতে হয়। পৌরকর আদায়ের হার কমে গেলে কিছুটা সমস্যা হয়। তাই কর আদায়কারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাপও সৃষ্টি করেছি।
চসিকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরে সরকারি-বেসরকারি এক লক্ষ ৯৮ হাজার ৯১৫টি হোল্ডিং রয়েছে। হোল্ডিংগুলোর বিপরীতে গত অর্থ বছরে হাল দাবি ছিল ১৭১ কোটি ২১লাখ ৫৭ হাজার ১২৭ টাকা। বকেয়াসহ এ দাবি ছিল ৩৩৩ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার ৮৬৩ টাকা। বিপরীতে সরকারি এক হাজার ৫১৬টি হোল্ডিং থেকে আদায় হয়েছে ৭০ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৮ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৪ শতাংশ। বেসরকারি এক লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৯৯ টি হোল্ডিং থেকে আদায় হয়েছে ৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪১২ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ। এদিকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে গৃহকর আদায় হয়েছে ১৩৭ কোটি ৪৬ লাখ ৫ হাজার ৩৬৩ টাকা। অর্থ বছরটিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশন অ্যাক্ট ২০০৯ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে চসিক মোট ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে থাকে। তার মধ্যে ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাঙ (গৃহকর), ৩ শতাংশ বিদ্যুতায়ন রেইট এবং ৭ শতাংশ আর্বজনা অপসারণ রেইট রয়েছে। অবশ্য ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি জারিকৃত সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৭ শতাংশ গৃহকরের পাশাপাশি ৭ শতাংশ আর্বজনা রেইট, ৫ শতাংশ বিদ্যুতায়ন বা সড়কবাতি রেইট এবং ৮ শতাংশ স্বাস্থ্য রেইট আদায়ের ক্ষমতা আছে প্রতিষ্ঠানটির।