১৫ সাংগঠনিক তদারকি কমিটি এক মাসেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

নগর আওয়ামী লীগের ১৫ থানার সকল সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশে গঠিত ১৫ সাংগঠনিক তদারকি কমিটি এক মাসেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। রিভিউ কমিটির সভায় শুধুমাত্র ১৫ থানায় ১৫জনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অপর ৪ সদস্য এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ১৫ থানার ১৫ আহ্বায়ককেই (পত্র-পত্রিকায় আহ্বায়ক হিসেবে যাদের নাম এসেছে) আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাদের কয়েকজন; যারা নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। এদিকে ৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গত এক মাসেও চূড়ান্ত না হওয়ায় ১৫ থানার তদারকি কমিটি এখনো বৈঠকও করতে পারেনি। নগরীর ১৫ থানার সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় নির্দেশে যে ১৫টি সাংগঠনিক তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে-তারা এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
এই ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আজাদীকে বলেন, ‘আমরা পত্রিকায় দেখেছি কেন্দ্রীয় নির্দেশে নগরীর ১৫ থানায় ১৫টি সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদেরকে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো ধরনের চিঠিও দেয়া হয়নি-সভা ডেকে আমাদেরকে দায়িত্বও বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। কার কি দায়িত্ব আমরা সেটাও জানি না। আমাদের সাথে একই কমিটিতে আর কে কে আছেন সেটাও আমরা জানি না।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ইউনিট ও ওয়ার্ড সম্মেলন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা নগরীর ইউনিট-ওয়ার্ড-থানা সমূহকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করে সম্মেলন উপযোগী করে তোলার জন্য নগর আওয়ামী লীগের ৬ শীর্ষ নেতার সমন্বয়ে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করে দেন। এই রিভিউ কমিটিকে বসে নগরীর ১৫ থানার সমস্যা সমাধানে ১৫টি সাংগঠনিক তদারকি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা থেকে আসার পর নগর আওয়ামী লীগের ৬ সদস্যের রিভিউ কমিটির নেতারা ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে প্রথম সভা করেন। এই সভায় নগরীর ১৫ থানার সকল সমস্যা সমাধান ও থানা গুলোকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করার জন্য ১৫টি সাংগঠনিক তদারকি কমিটি গঠন করা হয়।
১৫ থানার সাংগঠনিক তদারকি কমিটির মধ্যে কোতোয়ালী থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমেদ, পাহাড়তলী থানার আহ্বায়ক নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, ডবলমুরিং থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, হালিশহর থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খুলশী থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক্ব বদিউল আলম, পাঁচলাইশ থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, বায়েজীদ থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, সদরঘাট থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চকবাজার থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ইপিজেড থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, আকবর শাহ্‌ থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, পতেঙ্গা থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, বাকলিয়া থানার আহ্বায়ক হলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
উল্লেখ্য, গঠিত ১৫ থানা তদারকি কমিটিকে নগরীর ওয়ার্ডগুলোর বিদ্যমান সাংগঠনিক চিত্রের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে মহানগর কমিটিতে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআটকে পড়া বাংলাদেশিদের পোল্যান্ড হয়ে ফেরানোর পরিকল্পনা
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনে সর্বাত্মক রুশ অভিযান