অবশেষে ১৫ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে। গত ৩০ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনু বিভাগের উপ–সচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে অপসারণের বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভেঙে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ২ক–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ কে এম ফজলুল্লাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম ওয়াসার–এর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলপূর্বক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম ওয়াসার পদ থেকে অপসারণ করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ এর আগে, গত ৭ অক্টোবর বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি, পানি চুরি, প্রকল্পগুলো সময়মত শেষ না হওয়া, বিভিন্ন প্রকল্পের নথিপত্র পর্যালোচনাসহ সব অনিয়মের তদন্ত করতে চট্টগ্রামে আসেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান। বিগত সরকারের শাসনামলে টানা ৬ দফায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে চট্টগ্রাম ওয়াসার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। বিভিন্ন অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগের পর অবশেষে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে গত ৩০ অক্টোবর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হয়েছে।
ওয়াসার বোর্ড কমিটি বাতিলের প্রজ্ঞাপন : চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে অপসারণের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অপর এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড বাতিল করেন। চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড কমিটি বাতিলের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৪ অনুযায়ী উক্ত আইনে সন্নিবেশিত ধারা ৪২ক (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে চট্টগ্রাম ওয়াসার বর্তমান বোর্ড বাতিল করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।