প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত হালদা নদীতে গত ১৫দিন লাগাতার অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সরকার ঘোষিত বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর সত্তারঘাট থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২৬ হাজার মিটার অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করা হয়। নদীতে বর্তমানে মাছের প্রজনন মৌসুম। তাই এখন মাছের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের আনাগোনা দেখে এক শ্রেণির লোভী মাছ শিকারী নদী থেকে মাছ শিকারের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে জাল বসিয়ে মাছ শিকারের ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিন বলেন, হালদা নদী দেশের জাতীয় সম্পদ। এ নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে উৎপাদিত রেনু দেশের অর্থনীতিতে সীমাহীন অবদান রেখে আসছে। তাই সরকার এই নদী রক্ষার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। এমনকি নদী রক্ষার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, সারা বছর মাছ আহরণ নিষিদ্ধ, বালু উত্তোলন, নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল বন্ধ, নদীতে মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর মাছ অবমুক্ত করা, প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি, নৌ থানা স্থাপন করা, হালদা নদীর উপর নির্ভরশীল জেলে সম্প্রদায়ের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হবে।