১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ মার্চ, ২০২২ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের (৫৫) মৃত্যুর ১৪ ঘণ্টা পর মারা গেলেন স্বামী মো. জব্বার মিয়া (৭০)। উপজেলার বেলছড়ি ইউয়নের দেব মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীদের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই মরণব্যাধি ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হোসনে আরা বেগম। তার নামাজে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয় গতকাল শুক্রবার সকালে। এ সময় হোসনে আরা বেগমের দাফন প্রক্রিয়ার সব কাজ চলতে থাকে। বাড়ির পাশেই বেলছড়ি কেন্দ্রিয় কবরস্থানে কবরও প্রস্তুত করার কাজ চলছিল। অন্যদিকে বাড়িতে চলছিল মরদেহকে গোসল করানোর কার্যক্রম। বাড়িজুড়ে চলছে আত্মীয়-স্বজনদের শোকের মাতম। স্বজনরা যখন হোসনে আরা বেগমের দাফন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত তখনই স্ত্রী মারা যাওয়ার শোক সইতে না পেরে নিজেও না ফেরার দেশে চলে গেলেন মো. জব্বার মিয়া।
বেলছড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আল-আমিন বলেন, এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। এ ঘটনা বেলচড়ির মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোসনে আরা বেগমকে ও বাদ জুমা মো. জব্বার মিয়াকে বেলছড়ি কেন্দ্রিয় কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
মো. জব্বার মিয়া ও হোসনে আরা বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা লিপি আক্তারের স্বামী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত। উনার অসুস্থতার কথা শুনে আমার শ্বশুরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে গত সপ্তাহে তিনি স্ট্রোক করেন। এজন্য চিকিৎসাও করানো হয়। আবারো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আমাদেরকে তার চিকিৎসা করানোর সুযোগ দিলেন না।
বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, বেঁচে থাকাকালীন তাদের দুজনের মধ্যকার প্রেম-ভালোবাসার গভীর সম্পর্ক ছিল। মৃত্যুও তাদেরকে আলাদা করতে পারেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্ধ তিন জোড়া শাটল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধচোখের জলে স্বামী রক্তিমের শ্রাদ্ধ সারলেন স্ত্রী সুমনা