দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের না থাকাটা একরকম অবধারিতই হয়ে উঠেছিল। এবার তা নিশ্চিত করে দিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। মালিকানায় বদল আসছে আরও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির। এই পরিবর্তনগুলোকে সঙ্গী করে জাঁকজমকপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানালেন বোর্ড প্রধান। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জানান, বিপিএলের এবারের আসরের ড্রাফট হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। পূর্ব নির্ধারিত ২৭ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করার প্রত্যয় আবারও শোনালেন তিনি। বিপিএলে বরাবরই সবচেয়ে বেশি বাজেটের ও তারকাবহুল দল গড়ার জন্য পরিচিতি ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়নও তারাই। গত আসরে তারা ছিল রানার্সআপ। তবে দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর এবার আর তাদের দল গড়ার বাস্তবতা ছিলই না। সাবেক পরিকলপনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার মেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামাল দেশের বাইরে চলে গেছেন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কদিন আগে। কুমিল্লার জায়গায় রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি এবার যোগ হচ্ছে বলে নিশ্চিত করলেন বিসিবি সভাপতি। আর মালিকানা বদলে ভিন্ন নামে আসবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি। তিনি বলেন আমাদের দলগুলি ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে গেছে। বোর্ডের সঙ্গে কিছু আলোচনা ছিল। তিনটি দল পরিবর্তন হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম–কানুনের ব্যাপার ছিল। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। দু–একদিনের মধ্যে করে ফেলব। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম ঢাকা নওয়াব হবে সম্ভবত। এখনও হয়তো তারা সেটা ঘোষণা করেনি। চট্টগ্রামের একটা পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল ওরা ফিরে এসেছে। প্রথম আর দ্বিতীয় আসরে খেলেছিল তারা। দলটির নাম চিটাগাং কিংস। রাজশাহীর একটি দল হবে। এই তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আমরা নির্বাচিত করেছি তাদের আর্থিক সক্ষমতা ও অন্যান্য দিক দেখে। দেশে সরকার পরিবর্তনের পথ ধরে ক্রিকেট বোর্ডেও যে পরিবর্তনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তাতে এবারের বিপিএল ধুয়ে যাওয়ার একটা শঙ্কা ছিল। তবে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। বরং টুর্নামেন্ট আয়োজন মুগ্ধতা জাগানোর কথা দিয়ে রাখলেন ফারুক আহমেদ। যতটকু সম্ভব একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করা যায়, আমাদের চেষ্টা থাকবে করার। অনেকগুলো ব্যাপার থাকে এখানে। আম্পায়ারিং আছে, দুই–তিন বছর ডিআরএস, হক আই, এসব ছিল না। ওগুলা থাকবে। প্রোডাকশন আরও ভালো হবে। সব মিলিয়ে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করব।
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনেক পুরোনো দাবি রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে এবারও আলোচনা হয়েছে বলে জানালেন বোর্ড প্রধান। তিনি এটি তুলে রাখলেন ভবিষ্যতের জন্য। ফ্রাঞ্জাইজি গুলোর একটা পরামর্শ ছিল । তা হচ্ছে রাজস্ব ভাগাভাগির। ওটার ব্যাপারে আমরা বলেছি যে, এটাতো আসলে খুব একটা পরিষ্কার নই আমি। এবার দেখে নেই কেমন রাজস্ব হয়। আকর্ষণীয় যদি করা যায়, পরের মৌসুম থেকে লম্বা সময়ের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা দেওয়ার চেষ্টা করব । তখন দেখা যাবে কি করা যায়।