মো. আফজাল হোসেন (৩২) সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে ক্রেন চালক হিসেবে কাজ করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাত্রীকালীন ডিউটিতে যোগ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। সেখানে অপেক্ষারত স্বজনরা তার মৃতদেহের সন্ধান পান। নিহত আফজাল সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত সোলেমানের ৪র্থ পুত্র।
চমেক হাসপাতাল মর্গে লাশ ঢুকলেই তার স্ত্রী হামলে পড়ছেন স্বামীকে শনাক্ত করার জন্য। এ সময় তার ভাই ও আফজালের স্ত্রীর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। তার ২ বছরের শিশুপুত্রের অপলক দৃষ্টি, যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে বাবাকে।
নিহত আফজাল হোসেনের বড় ভাই মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, গতকাল রাত থেকেই তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা চমেকে গিয়েও তাকে পাইনি। বিএম কন্টেনার ডিপোতেও অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। অবশেষে ১২ ঘণ্টা পর বিএম ডিপো থেকে উদ্ধার করে চমেক মর্গে আনলে সেখানে শনাক্ত করা হয় তাকে।