১১ করণীয় কী কী

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

নগরের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি যে ১১ করণীয় নির্ধারণ করে দেয় সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরে সকল ধরনের পাহাড় কাটা বন্ধ করা, শহরের প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা, সিডিএ’র প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন ১৭টি স্লুইচ গেটের মধ্যে ১৫টি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের অধীনে ২১টির মধ্যে ১২টি আগামী মে মাসের মধ্যে চালু করা।

অন্যান্য করণীয়গুলোর মধ্যে আছে যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধে সিটি কর্পোরেশনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, জলাবদ্ধতার হট স্পটগুলোতে পাম্প হাউজ চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, বারইপাড়া খাল খনন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা এবং খালটির খনন করা অংশে মে মাসের মধ্যে পরিষ্কার করা। ৬ নম্বর করণীতে বলা হয়, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় করবে। কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

সিডিএ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলোর আওতায় চলমান খাল খনন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খালগুলো দখলমুক্ত করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করাও করণীয়ের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া কর্ণফুলী নদীর প্রয়োজনীয় নাব্যতা ও গভীরতা বজায় রাখতে মেনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা, আবর্জনা রিসাইকেলিংয়ের জন্য আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মে মাসের মধ্যে পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল নিয়ে ৩ মাসের মধ্যে প্রকল্প নেওয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক মাসে মোটরসাইকেলে চট্টগ্রামে প্রাণ গেল ১৮ জনের
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন আজ