১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও হুমকির অভিযোগ

এস আলমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নারীর মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

জালজালিয়াতির মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নাজমে নওরোজ নামের এক নারী। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেনসাইফুল আলম মাসুদের শ্বশুর আলী জহুর, শ্যালিকা জেসমিন আরশেদ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখার সাবেক ভিপি মো. জাকারিয়া, ওই শাখার সাবেক একাউন্টস অফিসার মো. আকিজ উদ্দিন ও সাবেক ম্যানেজার মো. ওসমান। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী শুভঙ্কর ঘোষ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোম্পানির মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছেন উল্লেখ করে নাজমে নওরোজ মামলার আরজিতে বলেন, ব্যবসার সূত্রে সাইফুল আলম মাসুদের শ্বশুর আলী জহুর ও শ্যালিকা জেসমিন আরশেদের সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের মাধ্যমে সাইফুল আলম মাসুদের সাথেও তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে সাইফুল আলম মাসুদের ‘নির্দেশে’ নাজমে নওরোজ তার প্রতিষ্ঠান নওরোজ এন্টারপ্রাইজ পুনর্গঠন করেন। জেসমিন আরশেদকে কোম্পানির ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং আলী জহুরকে ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক দেখিয়ে তাদের পরিচালক করেন। নিজে ১৫ শতাংশ শেয়ার রেখে এমডি হন। পরে সে সময়ের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে সাইফুল আলম মাসুদ নওরোজ এন্টারপ্রাইজ বন্ধক রেখে ওই ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখা থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেন। যার মধ্যে ১৫ কোটি টাকা নাজমে নওরোজকে দেওয়া হলেও বাকি টাকা আসামিরা আত্মসাৎ করেন। পরে সাইফুল আলম মাসুদের নির্দেশে ব্যাংকে সুদ মওকুফ ও ঋণ রিশিডিউলের আবেদন করেন নাজমে নওরোজ। আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকার সুদ মওকুফ হয়। তিন বছরের জন্য রিশিডিউল করা ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৫৫ কোটি টাকা। পরে ওই ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকে বাদীর দেওয়া খালি চেকে স্বাক্ষর জাল করে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১০০ কোটি টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। পরে নাজমে নওরোজ আসামি সাইফুল আলম মাসুদের সাথে যোগাযোগ করে ওই টাকা পরিশোধ করতে বললে তাকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৫ মে সাইফুল আলম মাসুদের বাসায় গিয়ে ওই ১০০ কোটি টাকা তার অ্যাকাউন্টে ফেরত দিতে বললে সাইফুল আলম মাসুদ তার সাথে ‘উচ্ছৃঙ্খল’ আচরণ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন বলেও মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন নাজমে নওরোজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছোট সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে সিএমপির পুরস্কার ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক এমপি নজরুলসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা