চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে স্থানীয় বিএনপি নেতার বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবিকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
এতে নাম উল্লেখ করে ১০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৪-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার নম্বর ১৬।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি করেন বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোবিনুর রশীদ চৌধুরী (৫২), যিনি হামলার শিকার বলাকা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ।
মামলার অন্য নামীয় আসামিরা হলেন—দৌলতপুরের মো. পারভেজ (৩০), পটিয়া কৈয়গ্রামের মো. রিপন (২৮), দৌলতপুরের নেজাম প্রঃ বাল্লা (৩২), শামীরপুরের ইলিয়াস হোসেন প্রঃ সাদ্দাম (৩০), দৌলতপুরের শাহাজাহান প্রঃ মধু (৫০), মো. ওসমান প্রঃ ইউইউ (৩০), কৈয়গ্রামের মনজুর আলম (৩০), শাহমীরপুরের নাঈম (২৮) এবং পটিয়ার তানভীর (২৮)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২২ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে প্রধান আসামির নির্দেশে ও নেতৃত্বে চাঁদার দাবিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে একদল লোক। চাঁদা না দেওয়ায় বাদী মোবিনুর রশীদকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন ২৩ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, রড, লাঠি ও রামদা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায়।
তারা অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ও মনিটর, একটি এস্কাভেটর ভাঙচুর করে এবং ক্যাশবাক্স থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে। হামলায় মোবিনুর রশীদ, তার ভাই হোসেন (৩৫), ম্যানেজার হাফিজুর রহমান লিটন (৪৭), অংশীদার এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম (৪৮)সহ একাধিক কর্মচারী আহত হন। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী মোবিনুর রশীদ বলেন, “চাঁদার দাবিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে হামলা চালিয়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আমরা এখনো হাসপাতালে। এদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রবিউল হোসেন রবি রিসিভ করেননি। ঘটনার দিন যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, “ঘটনার পর মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”