চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারা দেয়ার পাঁয়তারা বন্ধ এবং লালদিয়ার চর ও পানগাঁও ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকালে সাগরিকা শিল্পাঞ্চলে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) উদ্যোগে শ্রমিক–জনসভা ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিইউসি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু। সমাবেশে প্রধান বক্তা টিএইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এবং এ বন্দর নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, বন্দর বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ। এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের এখতিয়ার কেবল জনগণেরই। অনির্বাচিত ইন্টেরিম সরকারের বন্দর সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো আইনগত বা নৈতিক ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, বন্দর দেশের কৌশলগত স্থাপনা। নৌবাহিনীর সদর দপ্তরসহ তেল খাতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্দরের পাশে অবস্থিত। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দরের কোনো স্থাপনা তুলে দিলে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, লালদিয়ার চর ও পানগাঁও জাতীয় সম্পদ। এগুলো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে ইজারা দেয়া জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে স্কপসহ সকল শ্রমিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে সারা দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মছিউদ দৌলা, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বিএফটিইউসি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হুনি, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা হেলাল উদ্দিন কবির, বিএলএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ মিয়া, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উদ্দিন শাহিন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, বন্দর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।









