হ্রদে মৃত শাবক, পাড়ে অপেক্ষায় মা হাতি

রাঙামাটির সেই ‘বিরল গোলাপী’ হাতির মৃত্যু

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বুধবার , ২২ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির বরকল উপজেলার বরুনাছড়িতে একটি হাতি শাবকের মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগের ধারণাখাড়া পাহাড় থেকে পা পিছলে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে যায় হাতি শাবকটি। আহত অবস্থায় পরে হ্রদে ডুবেই মারা যায় হাতি শাবক। এটি সম্প্রতি বরুনাছড়িতে দেখা পাওয়া সেই ‘বিরল গোলাপি’ হাতি শাবকটি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির আওতাধীন রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি গ্রামের লিটনের টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত সোমবার দিবাগত রাতে শাবকটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা বন বিভাগের।

যদিও গতকাল মঙ্গলবার দিনভর পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুজ্জামান শাহ’সহ বন বিভাগের লোকজন শাবকটি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। কারণ কাপ্তাই হ্রদে ডুবে মারা যাওয়া হাতি শাবকটির পাশের টিলাতেই মা হাতিটি দাঁড়িয়েই আছে। গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাতি শাবকটি উদ্ধার করা যায়নি। আজ বুধবার আবারও শাবকটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে বন বিভাগএমনটাই জানিয়েছেন ডিএফও মো. রফিকুজ্জামান শাহ। হাতি শাবকটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি এলাকায় একটি খাড়া পাহাড় থেকে পড়ে সম্ভবত সোমবার রাতে একটি বন্যহাতির শাবক কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে মারা যায়। মঙ্গলবার সকালে আমরা ঘটনাটি জানার পরই সেখানে গিয়েছি। দিনভর সেখানেই ছিলাম, হাতি শাবকটি উদ্ধারের চেষ্টা করেও উদ্ধার করা যায়নি। কারণ হাতি শাবকটির পাশেই মা হাতিটি দিনভর দাঁড়িয়ে ছিল। হাতি শাবকটির কাছে গেলেই মা হাতিটি তাড়িয়ে আসে।

ডিএফও আরও বলেন, আমরা আগামীকাল (বুধবার) আবার হাতি শাবকটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাব। এরপর ভেটেরিনারি সার্জন দিয়ে ময়নাতদন্তের পর হাতি শাবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। উত্তর বন বিভাগের অধীনের বরুনাছড়ি এলাকায় মোট ১৩১৪টি হাতি ও শাবক রয়েছে। তবে মৃত শাবকটির বয়স সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

গত ১৩ জুন একটি ভিডিওতে একদল হাতিকে পানিতে সাঁতরাতে দেখা যায়। হাতির ওই দলে দেখা মেলে গোলাপি রংয়ের এক শাবকের। ওই দলে মোট আটটি হাতি ছিল, যার মধ্যে পাঁচটি পূর্ণ বয়সী, একটি কিশোর, দুটি শাবক। সবচেয়ে ছোট শাবকটি ছিল ‘গোলাপি রংয়ের’। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যতিক্রম রংয়ের এ হাতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল, কিছু পর্যালোচনায় আছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধসুপার ওভারের রোমাঞ্চে জিতে সমতায় উইন্ডিজ