হেফাজত কর্মীসহ গ্রেপ্তার ৬০ পদ ছাড়লেন নায়েবে আমির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতা

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকসহ ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের ১৬ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছেন। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে হেফাজতের ১২৮ জন, বিএনপির ৩৭ জন ও জামায়াত-শিবিরের ৩ জন আছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৬ জন হলেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সফিউল্লাহ মিয়া (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শিমরাইলকান্দির বাসিন্দা কামরুল হাসান (২৮), ছাত্রদলের সদস্য শহরের বণিকপাড়ার বাসিন্দা মো. পলাশ (২৬), হেফাজতের সমর্থক পৌর এলাকার ফুল মিয়া (৩৩), নয়নপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম (৩০), পুনিয়াউট উত্তরপাড়া মো. মেরাজ (১৯) ও মো. আশিক (২০), পুনিয়াউটের জুনাইদ (২১), পশ্চিম মেড্ডার দুলাল মিয়া (৩৯), সদর উপজেলার বিহাইর এলাকার শাহজাহান মিয়া (৫১), সোহাতা গ্রামের রাকিবুল হাসান (২৩), বিরাসার দক্ষিণপাড়ার মো. শামীম (৩০), মো. সুজন (২২) ও রবিন মিয়া (১৮), নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডলের দুলাল মিয়া (২৯) ও শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা জামায়াত কর্মী লিয়াকত আলী (৩৫)। তাঁদের মধ্যে শাহজাহান জেলা পুলিশ লাইনসে আক্রমণ করেছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ ১৬ জন আছেন।
অন্যদিকে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে হেফাজতের পদ ছেড়েছেন নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে আগে ও পরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি বলেন, হেফাজতে ইসলামে যোগ্য নেতৃত্বের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। গ্রুপিং, দলাদলি সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের অঙ্গনে ভিন্নদল ও ভিন মতাদর্শের মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে এবং তারাই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হেফাজতে ইসলামকে অত্যন্ত সুকৌশলে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে। যার ফল স্বরূপ হেফাজত হরতালের মত জনভোগান্তিকর কর্মসূচি পালন করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪ জুন প্রথম জাতীয় চা দিবস
পরবর্তী নিবন্ধআসছে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা থাকছে জেল-জরিমানা