এ কেমন তুলির আঁচড় দিলে তোমার ক্যানভাসে?
চেয়ে দেখো একটিবার আমার দিকে,
এ তো আমি নই,
এতো মায়াবী চোখে কিভাবে কুৎসিত রূপ আঁকলে?
নতোমুখী নেত্র হলেই অবলা ভাবার কারণ তো নেই,
আমি তো সেই রমণী নই, যা তুমি আঁকতে চাইলে,
পড়ো আমার চোখের ক্ষুরধার ভাষা
কী দেখলে তুমি, ক্যানভাসে আঁচড় দিয়ে
বুঝিয়ে দাও, নতোমুখি চোখ কেবলই
নতো হয়ে থাকার মন্ত্রে, পথ চলে না।
আমি সেই রমণী, যার মেধায় ধ্বংস হয় নগরী
আমি সেই রমণী, যে ইজ্জত রক্ষার্থে
আগুনে ঝাঁপ দিতেও কখনো পিছ পা হয় না,
আমি সে রমণী, মৃত্যুকে হাতে নিয়ে
বিজ্ঞানের সাথে চলা
সর্বজয়া আমি, ধরিত্রীর মতো,
কখনো শান্ত নদীর মতো, কখনো বা ভেঙে চুড়ে
করি ধ্বংস সৃষ্টির আদি অন্ত।
হে আর্য পুরুষ,
এভাবেই আঁচড় তুলে এঁকে যাও রমণীর চরিত্র,
কুৎসিত রূপে রঙতুলির আঁচড় ফেলে
ধূলিসাৎ করো না মমতা, ভালোবাসা।
কলংকিত রূপ আঁকতে চেয়ে নিজেই মরো না
প্রকৃতির দহনে।