হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্ত-পাঠকদের শ্রদ্ধা

| রবিবার , ২০ জুলাই, ২০২৫ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পেঙ্গুইন প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস, গল্পকে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দিতে। পেঙ্গুইন পাবলিকেশন সব লেখকের কাছে একটা স্বপ্নের ব্যাপার যে, তাদের বই থাকবে পেঙ্গুইন পাবলিকেশনে। হুমায়ূন আহমেদের খুব ইচ্ছা ছিল, স্বপ্ন ছিল, তার লেখা বই পেঙ্গুইন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশ হবে। আজ আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, সমপ্রতি সেই পেঙ্গুইন পাবলিকেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। খুব শিগগিরই হুমায়ূন আহমেদের লেখা, বই পেঙ্গুইন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হবে। তার লেখা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে। বিভিন্ন ভাষায় হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস অনুবাদ হওয়া, প্রকাশ হওয়ার বিষয়টি আমার কাছে একটা বড় কিছু মনে হয়। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনার লিগ্যাসির চেয়ে লেখার লিগ্যাসি অনেক বড়। খবর বিডিনিউজের।

হুমায়ূন আহমেদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে শাওন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তার আগে তিনি দুই ছেলে নিশাত, নিনিতসহ ভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। গাজীপুরের পিরুজালি এলাকার নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় শায়িত হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা জড়ো হন। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা।

নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সকালে আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন। দুপুরে সব শিক্ষকশিক্ষার্থী ও অতিথিদের জন্য হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় খাবার সাদা ভাত, গরুর মাংস, মাসকলাই ডালের মুড়িঘণ্ট ও ফিরনি পরিবেশন করা হয়। মেহের আফরোজ শাওন তাদের খাবারের বিষয়টি তদারকি করেন।

অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদ বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ হযরত মৌলানা মোহাম্মদ শাহ’র বার্ষিক ওরশ
পরবর্তী নিবন্ধঅন্যায়ের সাথে আপস না করাই কারবালার দর্শন