বগুড়ায় ভোট করে আলোচনায় আসা ইউটিউবার হিরো আলম এবার আসছেন রাজধানীতে। তিনি যেখানে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাইছেন বেশ কয়েকজন অভিনেতা।
ঢাকা–১৭ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১৭ জুলাই ভোটের দিন ঠিক করেছে ইসি। সেই ভোটে যিনি জয়ী হবেন, তিনি অবশ্য কয়েক মাসের জন্য সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন, কেননা একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে কয়েক মাসের মধ্যে। খবর বিডিনিউজের।
সোশাল মিডিয়ায় ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েটর’ হিরো আলম একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া–৪ ও বগুড়া–৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ ভোট পেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। এবার ঢাকা–১৭ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেন হিরো আলম। কেন– প্রশ্নে তিনি বলেন, ফারুক ভাই অনেক উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত রেখে গেছেন। আমি সেই কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই।
বিএনপির বয়কটের মুখে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ভোট করতে চাইছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস, ড্যানি সিডাক, ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। ফেরদৌস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত। আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশ নেব। নানা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারে নামা ফেরদৌস বলেন, আগে থেকেই আমি মানুষের জন্য আমি কাজ করছি, সেটি আরও বড় পরিসরে করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।
টিভি নাটকে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া সিদ্দিক চিত্রনায়ক ফারুক মারা যাওয়ার পরপরই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা–১৭ আসনে নির্বাচনের জন্য আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি। আমার বিশ্বাস, মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
চলচ্চিত্র অভিনেতা ড্যানি সিডাকও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুকের ছেলে রৌশন হোসেন পাঠানও বাবার মতো নৌকার প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারাসহ মোট ২২ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে, আগামী ১০ জুন।











