পশ্চিম হিমালয়ের লাদাখ অঞ্চলে কিছু কিছু অংশে ভারত ও চীনের সেনারা একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে জানিয়ে সেখানকার পরিস্থিতিকে নাজুক ও বিপজ্জনক অভিহিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। ভারতীয় এক গণমাধ্যমে শনিবার তার এ মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০২০ সালের মাঝামাঝি হিমালয় অঞ্চলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৪ সেনা নিহত হয়েছিল। কয়েক দফা কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের আলোচনার পর সেখানকার পরিস্থিতি আপাতত শান্তই দেখা যাচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে পূর্বাঞ্চলের অনির্ধারিত সীমানায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই এশীয় জায়ান্টের মধ্যে সহিংসতা দেখা গেলেও সেখানে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনও খুব নাজুক রয়ে গেছে, কারণ এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে আমাদের উভয় পক্ষের মোতায়েন করা সেনারা খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। সামরিক দিক থেকে এটা বেশ বিপজ্জনক, ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় এমনটাই বলেছেন জয়শঙ্কর। খবর বিডিনিউজের।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন তার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সীমান্ত বিরোধ না মেটা পর্যন্ত ভারত–চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না, বলেছেন তিনি। যেসব সমঝোতা হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করার কথা চীনের, কিন্তু তা এখনও করেনি তারা, ভাষ্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। অবশ্য অনেক এলাকা থেকে উভয় পক্ষ সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে, অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও চলছে, বলেছেন তিনি।
আমরা চীনকে এটা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি যে শান্তি এবং শান্তিভঙ্গ একসঙ্গে চলতে পারে না। আপনি চুক্তি লংঘন করবেন এবং কিছুই হয়নি এমনভাবে বাকি সম্পর্ক চলুক, তা চাইবেন, এটা হতে পারে না। এটা সমর্থনযোগ্যও নয়, বলেন জয়শঙ্কর।