নগরীর নিউমার্কেটে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কপিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুদার ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদসহ পুলিশের ২৬ জনের নাম রয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে ভিকটিম কপিল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূরে খোদা দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাতকানিয়া–লোহাগাড়ার সাবেক এমপি মোতালেব চৌধুরী, বাঁশখালীর সাবেক এমপি মুজিবুল হক, এডিশনাল ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি নেজাম উদ্দিন, একই থানার সাবেক আরেক ওসি মোহাম্মদ মহসিন, একই থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) সাজেদ কামাল, পাঁচলাইশের সাবেক ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি ওবায়দুল হক, চান্দগাঁও থানার সাবেক ওসি জাহিদুল কবির ও জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরের নেতা সোলায়মান আলম শেঠ। আরো আছেন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মোবারক আলী ও ওয়াসিম উদ্দিন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের গোল চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আওয়ামী সরকার পতনের লক্ষে আন্দোলন চলছিল। সেখানে অন্যদের মতো বাদী কপিল উদ্দিনও সচেতন নাগরিক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, গ্রেনেড ও গোলাবারুদ নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। বাদীসহ অন্যদের উপর প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ, সাউন্ড গ্রেনেড ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতা তাকে যখন সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আসামিরা ফের হামলা করে। লাঠি সোটা ও হকস্টিক দিয়ে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বাদীকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আরজিতে আরো বলা হয়, সেখানেও ছাত্রলীগের ক্যাডারা রেডক্রিসেন্টের বিভিন্ন পোশাক পড়া অবস্থায় হামলা করা হয়। চিকিৎসা প্রদান না করতে নার্সদের হুমকিও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বাদীকে সেখান থেকে বের করে অপর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।