হাসিনাকে কেন আশ্রয় দেওয়া হলো, জানতে চান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে অভিযুক্ত করলে ভারতে হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেন তিনি।

বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় গত রোববার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার’ অভিযোগ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে আপনার ভোটব্যাংক বানিয়েছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই, তুষ্টির রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডকে প্রথম থেকে পুনর্গঠন করবে। খবর বাংলানিউজের।

অনুপ্রবেশ’ সম্পর্কে অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। হেমন্ত সোরেন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেছেন, কিসের ভিত্তিতে মোদি সরকার হাসিনাকে ভারতে আশ্রয়ে দিয়েছে? গত রোববার এক নির্বাচনী সমাবেশে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সোরেন বলেন, শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার কেন এখানে নামতে দিলেন? কিসের ভিত্তিতে আপনারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন? আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সাথে বিজেপির কোনও ধরনের অভ্যন্তরীণ কোনও বোঝাপড়া আছে কিনা।

সোরেনের দাবি, ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে, আর রাজ্যের মানুষ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কারণে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলা করছে। তিনি বলেন, সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোধ করা কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এতে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অনুপ্রবেশকারীরা আপনার (বিজেপি) শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে। আপনি সেখানে অনুপ্রবেশ খতিয়ে দেখেন না কেন?

উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন দুটি ধাপে ১৩ ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৩ নভেম্বর ভোট গণনা করা হবে। ঝাড়খণ্ডের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল জেএমএম বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অধীনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৫৮ শিক্ষানবিশ এসআইকে অব্যাহতি
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে কৃষকলীগ নেতা গ্রেপ্তার