হাসপাতালের পরিকল্পনা বাতিল করুন

১২৫ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ জুলাই, ২০২১ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

কয়েকশ প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও জীববৈচিত্র্যের অভয়ারণ্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেশের ১২৫ জন বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী। নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী, বাউলশিল্পীসহ ১২৫ জন ব্যক্তি গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ধরনের পরিকল্পনা বাতিল করে চট্টগ্রামের মেয়র প্রস্তাবিত স্থান বা শহরের অন্য কোনো স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, এখানে ১৮৯৫ সালে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সূতিকাগার ছিল সিআরবি ও পাহাড়তলী এলাকা। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে এখানেই তৎকালীন ইপিআর সদস্যদের নিয়ে মেজর রফিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রথম গোপন ঘাঁটি গেড়েছিলেন। প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের স্থানেই রয়েছে একাত্তরের শহীদ চাকসুর প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহীদ আবদুর রবের সমাধি। চট্টগ্রামের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার এই নয়নাভিরাম অঞ্চল হলো নগরবাসীর অক্সিজেন গ্রহণের অফুরন্ত উৎস।
বিবৃতিতে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি এবং জনস্বার্থে সিআরবি এলাকা বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে প্রস্তাবিত হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
বিবৃতিদাতাগণ হলেন রামেন্দু মজুমদার, আবেদ খান, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ, কেরামত মাওলা, আশরাফুল আলম, মিলন কান্তি দে, ঝুনা চৌধুরী, হাসান আরিফ, ড. নিগার চৌধুরী, মিজানুর রহমান, শেখ মাহফুজুর রহমান, আহমদ গিয়াস, আহকামউল্লাহ, নাদের চৌধুরী, দেবপ্রসাদ দেবনাথ, কামাল পাশা চৌধুরী, মানজার চৌধুরী সুইট, আক্তারুজ্জামান, কবি আসলাম সানী, দীপা খন্দকার, অনন্ত হীরা, মীর বরকত, মাসুম রেজা, মাসকুর এ সাত্তার কল্লোল, ইকবাল খোরশেদ, চন্দন রেজা, আজহারুল হক আজাদ, রফিকুল ইসলাম, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, ফকির সিরাজুল ইসলাম, কাজী মিজানুর রহমান, হাবিবুল আলম, আরিফ রহমান, কবি রবীন্দ্র গোপ, অলক দাসগুপ্ত, আহসান হাবিব নাসিম, হাফিজুর রহমান সুরুজ, ফয়েজ জহির, রফিকুল্লাহ, মনিরুজ্জামান, কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস, মারুফ কবির, দেবাশীষ ঘোষ, কাজী চপল, নুনা আফরোজ, মাহবুবা হক কুমকুম, রওশন জাহান রুশনী, রেজীনা ওয়ালী লীনা, নায়লা তারান্নুম কাকলি, আবদুল হালিম আজিজ, খোরশেদুল আলম, মীর জাহিদ হাসান, আশিকুর রহমান বুলু, শাহনেওয়াজ, আবু আজাদ, শেখ শাফায়েতুর রহমান, এইচ আর অনীক, নিয়াজ আহমেদ, মানস বোস বাবুরাম, হানিফ খান, মাহবুব রিয়াজ, এফ এম শাহীন, মঞ্জুর আলম সিদ্দিকী, তাপস সরকার, সালমা চৌধুরী, জিয়াউল হক জিয়া, খন্দকার আনোয়ার, আক্তারুজ্জামান কিরন, গোলাম জিলানী, রেজাউল করিম রেজা, সেলিম রেজা, আবুল ফারাহ পলাশ, মীর মাশরুর জামান রনি, শহীদুল ইসলাম নাজু, সোলায়মান কবির সোহেল, ঝর্না সরকার, ঝর্ণা আলমগীর, কাজী শিলা, আনন জামান, অনীক বসু, মো. আনসার আলী, ফয়সাল আহমেদ, সোনিয়া হাসান সুবর্ণা, মাসুদুজ্জামান, মৈত্রী সরকার, আনিসা জামান চাপা, ফয়জুল আলম পাপ্পু, নাইম হাসান সুজা, নিথর মাহবুব, রিজওয়ান রাজন, আসমা আকতার লিজা, মুন্নী সালমা, শ্যামলী চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, তারেক আলী মিলন, সাবিল রেজা চৌধুরী, আতিকুর রহমান উজ্জ্বল, শহীদুজ্জামান, গৌতম মজুমদার, বাউল দেলোয়ার, বাউল দিল বাহার, ইকবাল হাফিজ, মোতাহার হোসেন, শাকিল আহমেদ, অনন্যা লাবনী পুতুল, শিরিন ইসলাম, মাহফুজা আক্তার মিরা, সাহিদা রহমান সুরভী, হুমায়ুন কবির হিমু, কামাল আহমেদ, ফয়েজুল্লাহ সাইদ, অনিকেত রাজেশ, সৈয়দা শামসি আরা সায়কা, মমিনুল হক দিপু, সমর মজুমদার, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ইমু, ফয়জুল বারি ইমু, সালাউদ্দিন সোহাগ ও রেজাউল হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটানা দ্বিতীয় দিন পদক তালিকার শীর্ষে জাপান
পরবর্তী নিবন্ধনলকূপ বসাল কারা