হালদা নদীতে শনিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে ফের নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
নদীর কাগতিয়ার চর, মাছুয়াঘোনা, নাপিতেরঘাট, আজিমারঘাট প্রভৃতি এলাকায় নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন ডিম আহরণকারীরা।
এ বছরের ২৪ মে দিবাগত মধ্যরাতে মা মাছ নদীতে নমুনা ডিম ছাড়ে। পরদিন ২৫ মে ২৪ ঘণ্টা পর পুনরায় নমুনা ডিম ছাড়ে। ২৬ মে দিবাগত রাতে মাছ ডিম ছাড়ে।
সেই সময় ৩শ’ ৪৩ টি নৌকার মাধ্যমে ৮শ’ ৬ জন ডিম আহরণকারী ৬ হাজার ৫ কেজি ডিম আহরণ করেছিল।
পরবর্তীতে ২ জুন পুনরায় মা মাছ ২য় দফা ডিম ছাড়ে।
এই সময় ২ হাজার কেজি ডিম আহরণ করেন ডিম আহরণকারীর।
গত বছরের ২২ মে বিগত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ২৬ হাজার কেজি ডিম আহরণ করেন আহরণকারীরা।
গত কয়েকদিন থেকে প্রবল বর্ষণের ফলে নদীতে ব্যাপক ঢলের প্রকোপ হয়। ঢলের ফলে দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টা থেকে নদীতে মাছ ডিমের আংশিক নমুনা ছাড়ে। রাত দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত নমুনা ছাড়া অব্যাহত ছিল বলে জানায় ডিম সংগ্রহকারী গড়দুয়ারার কামাল সওদাগর, মাছুয়াঘোনার মো. শফি ও মধ্য মাদার্শার আশু বড়ুয়া। তবে তারা রাতে জোয়ারের সময় ডিম ছাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিনও নদীতে নমুনা ডিম ছাড়ার কথা স্বীকার করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়াও নদীতে মা মাছ সামান্য পরিমাণ ডিম ছেড়েছে বলে উল্লেখ করেন। তবে এগুলো খুবই নগন্য বলে জানান তিনি।