হালদা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল দেড় বছরের শিশু তাহিয়ার লাশ। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব সুয়াবিল এলাকায় বাড়ির উঠোন থেকে নিখোঁজ হয়েছিল শিশুটি। চারদিন পর গতকাল রোববার হালদা নদীর শেষপ্রান্তে কালুরঘাট সেতুর কাছে শিশুটির ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। বিকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালের মর্গে পাঠায়। গতকাল সোমবার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহত তাহিয়া উপজেলার পূর্ব–সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা মো. মানিক ড্রাইভারের মেয়ে।
নিহত শিশুর স্বজনেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটা পর্যন্ত শিশু তাহিয়াকে বসতঘরের সামনে উঠোনে খেলতে দেখে তার মা। এরপর থেকেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের বসতঘরের অল্প দূরেই হালদা নদী। পরিবারের লোকজন ধারণা করেছিলেন তাহিয়া হালদায় তলিয়ে যেতে পারে। বিষয়টি জানাজানি হলে নদীর দুইপাড়ে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। বিভিন্নস্থানে তল্লাশি করেন।
নাজিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আমান উল্লাহ বলেন, নিখোঁজের পর অবশেষে তার লাশ মিলেছে হালদায়। বাড়ি থেকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট সেতুর কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা খবর দিলে শিশুটির বাবা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
শিশুটির বাবা মোহাম্মদ মানিক কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আদরের কন্যার লাশ বহন করার শক্তি আমার নেই। তবে লাশ দেখার পর মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ নিখোঁজের সময় তার পরনে প্যান্ট ছাড়া কোন কাপড় ছিল না, কিন্তু লাশ উদ্ধারের পর তার গায়ে জামা–কাপড় দেখা যায়। ফলে আমার সন্দেহ হচ্ছে কেউ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করতে পারেন। তবে পুরো বিষয়টিকে পরিষ্কার করতে ‘সময়’ নিচ্ছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের পর পরই বিষয়টি সাংবাদিকদের খোলাসা করতে চাই। এর আগে কিছুই বলতে চাই না।