ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে হাটহাজারীর নিম্নাঞ্চল। গত রোববার দিবাগত রাত থেকে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবারও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।
প্রবল বাতাসের কারণে উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় গাছ পড়ে তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় বেশির ভাগ পরিবারের গৃহস্থালি কাজে সীমাহীন ভোগান্তি হয়েছে।
হালদা নদীর জোয়ারের পানিতে আজিজিয়া মজিজিয়া সড়কের পাঁচটি স্থান তলিয়ে যায়। এতে এই সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। উপজেলার আওতাধীন দক্ষিণ মাদার্শা, মধ্যম মাদার্শা, উত্তর মার্দাশা, মাহলুমা, গড়দুয়ারা, লোহারপোল, জোর পুকুর, তেমোহনী, পূর্ব শিকারপুর, মাদার্শা জেলে পাড়া, মাদারীপোল এলাকা, সাইন বোর্ড, বোয়ালিয়ারকুল, কাজিরখীল, রুদ্রুপুর, চিকনদন্ডি (আংশিক), চারিয়া (আংশিক), পৌরসভার ফটিকা, মোহাম্মদপুর, ভাগিরঘোনা, রহিমপুর, ভবানীপুর, তজ্জার পোল প্রভৃতি এলাকা জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
গত সোমবার মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়া এলাকার শিল্পী বড়ুয়ার ঘরের পাশের একটি মাটির ঘরের দেওয়াল ধসে পড়ে। এতে অল্পের জন্য পরিবারের লোকজন কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে গেছে বলে জানান শিল্পী।
চিকনদন্ডী ইউনিয়নের সমাজকর্মী রুপেশ শীল জানান, তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে আসা ঢলের পানি তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। ফলে তিনি তার পরিবার ও পার্শ্ববর্তী বাড়ি ঘরের লোকজন চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।