দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় অতি বিপন্ন প্রজাতির একটি গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) হালদা নদীর হাটহাজারী অংশের গড়দুয়ারা এলাকা থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। তবে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে হালদায় গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যু না হলেও এই ডলফিনটি বয়সজনিত কারণে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
তিনি আজাদীকে বলেন, তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ বন বিভাগ ঢাকায় বসে হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে ভালই প্রজেক্ট বাণিজ্য করছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে হালদা নদীর ডলফিন সংরক্ষণে কোন ভূমিকা রাখছে না। এমনকি ডলফিনের মৃত্যুতে টেলিফোন করেও তাদের কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
ডলফিন রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগকে দেয়াটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং আমাদের দাবি বিপন্ন তালিকাভুক্ত বাংলাদেশের জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী ডলফিন সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশেষ ভাবে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপর হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছি।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন কারণে হালদায় এ পর্যন্ত ৪১টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে৷ মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৭ ফুট, ওজম প্রায় ৯৯ কেজি। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর একটি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা অতিবিপন্ন প্রজাতির মিঠাপানির অনেক গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে।
বয়সজনিত, খাদ্যের অভাব, দূষণ, পানির গুনাবলি পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে ডলফিনের মৃত্যু হয়ে থাকে। হালদা নদীর মা মাছ ও গাঙ্গেয় ডলফিন রক্ষা তথা জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।