হাটহাজারীতে কৃষিজমি, রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়াসহ দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার লক্ষ্যে হালদা নদীর বারিয়াঘোনা এলাকায় স্যুইচগেট স্থাপনের দাবী এবং ওই এলাকাবাসীদের সাথে বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বাদে জুমা উপজেলার উত্তর মাদার্সা ইউনিয়নস্থ বাড়িয়াঘোনায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হালদা নদীর জোয়ারে পানিতে বাড়িয়াঘোনা এলাকার প্রায় সব কৃষি জমি, রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায় আর সামান্য বৃস্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া বর্ষাকালে প্রায় এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় মৃত মানুষদের কবর দিতেও প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, হালদা নদীর পশ্চিম পাড়ে শহর রক্ষার জন্য শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও পূর্ব পাড়ের মানুষের জন্য কোনো স্থায়ী সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। একই নদীর দুই পাড়ে এই বৈষম্য কেন এমন প্রশ্নও করেন সংশ্লিষ্টদের। এসময় তারা হালদা নদীর পূর্ব পাড়ে স্যুইচগেট স্থাপন এবং টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। এবং আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই তারা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলেও জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া প্রায় ৭৫ বছর বয়সী নুরুল আলম জানান, এক সময় এই বারিয়াঘোনা এলাকায উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যেতো আর এখন সেই এলাকায় কেউ কোনো কৃষি কাজই করতে পারেননা পানিতে কৃষি জমিগুলো ডুবে থাকার কারনে। ভোট আসলে সবাই বিভিন্ন আম্বাস দিয়ে যায় কিন্তু ভোটের পর তারা আর কোনো খোঁজ খবরও নেন না।তিনি তিনি ওই এলাকার হালদা নদীর বারিয়াঘোনাবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে নদীর উপর ব্রীজ, স্লুইচ গেট নির্মাণ এবং দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড.মো.ইউনুস সহ সংশ্লিষ্টদের।
উক্ত মানববন্ধনে সমাজসেবক কামাল আহমেদ, মো.লোকমান, সাবেক মেম্বার গোলাম মোস্তফা, নাজিম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ এরশাদ, মো.জাহাঙ্গীর, রোকন উদ্দিন জিকু, মো.আসাদ,মোহাম্মদ মনির ও মো.রাসেলসহ ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।











