দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত তিনটি কোম্পানির তৈরি ১০ ধরনের করোনারি স্টেন্টের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব কোম্পানির স্টেন্টের দাম এখন তিন হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমবে। খবর বিডিনিউজের।
ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া সচল রাখতে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে স্টেন্ট বা করোনারি স্টেন্ট পরানো হয়। প্রচলিত ভাষায় এটি ‘রিং’ হিসেবে পরিচিত। করোনারি স্টেন্টের দাম কমানোর বিষয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশের পর রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ট্যাক্স, ভ্যাট, বিভিন্ন চার্জ কিংবা কমিশন এবং কোম্পানিগুলোর যুক্তিসঙ্গত মুনাফা বিবেচনায় এনে বস্টন সায়েন্টিফিক, অ্যাবোট এবং মেডিট্রোনিক থেকে আমদানি করা করোনারি স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য অনুমোদন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মেডট্রোনিকের তৈরি রিসলিউট অনিঙের স্টেন্টের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একই কোম্পানির অনিক্স ট্রুকরের দাম ৭২ হাজার টাকা থেকে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বস্টন সায়েন্টিফিকের প্রোমাস এলিটের দাম ৭৯ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৭২ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রোমাস প্রিমিয়ার স্টেন্ট ৭৩ হাজার টাকার বদলে ৭০ হাজার, সাইনার্জির দাম ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার, সাইনার্জি শিল্ড ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং সাইনার্জি এক্সডি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাবোটের জায়েন্স প্রাইম স্টেন্টের দাম ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা, জায়েন্স আলপাইনের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা এবং জায়েন্স সিয়েরার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বলেছে, হাসপাতালগুলো যেন এসব স্টেন্টের নির্ধারিত দামের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫ শতাংশের বেশি টাকা না নিতে পারে, সে বিষয়টি তদারক করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের বাইরে কোনো কার্ডিওভাসকুলার ও নিউরো ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস যেন না কেনা হয়, সেদিকে নজরদারি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।