হারানো প্রণোদনা ফেরত চায় বিজিএমইএ

| বৃহস্পতিবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

পোশাক খাতের মৌলিক পণ্যসহ বিভিন্ন স্তরে প্রণোদনা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার দাবি করেছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গত মঙ্গলবার প্রণোদনা সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার জারি হওয়ার পর গতকাল বুধবারই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)

তিনি বলেন, পোশাকখাতে প্রচলিত প্রণোদনার প্রায় ৭০ শতাংশ বাদ গেছে। আমরা আশা করি বর্তমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করে আমাদের অর্থনীতিকে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার শিল্প ও দেশের স্বার্থে এই পদক্ষেপটি পুনঃবিবেচনা করবে। খবর বিডিনিউজের।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার ২০২৩২৪ অর্থবছরে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা বিষয়ক একটি সার্কুলার জারি করে, যার মাধ্যমে প্রচলিত নগদ সহায়তার হার ও কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এতে ৫টি প্রধান রপ্তানি পণ্যের উপর নগদ সহায়তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পণ্যগুলো হল : টিশার্ট, স্যোয়েটার, নিটেড শার্ট, পুরুষদের আন্ডার গার্মেন্ট এবং ওভেন ট্রাউজার ও জ্যাকেট। এই সার্কুলারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনা ছাড়া বাকি সব প্রণোদনার হার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

বিজিএমইএ বলছে, পোশাক খাতে যে পাঁচটি পণ্যের প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা এগুলোই উৎপাদন করে। ফলে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি বেশিরভাগ পোশাক কারখানা কোনো প্রণোদনাই পাবে না। দেশের মোট পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণির বলেও জানিয়েছে বিজিএমইএ। সার্কুলারে তিনটি বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার অর্থাৎ জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির ক্ষেত্রেও রপ্তানি প্রণোদনাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ জানায়, ২০২২২৩ অর্থবছরে এই ৩টি বাজারে পোশাক রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাইডিসেম্বরে যখন প্রধান দুটি বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৫.৬৯ শতাংশ ও ১৭.০৫ শতাংশ, তখন প্রণোদনা থেকে বাদ পড়া তিনটি নতুন বাজারে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৩.৫৬ শতাংশ। এই বাজারগুলো বাদ দেওয়ার ফলে সেখানে রপ্তানি বিপর্যস্ত হবে।

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজ যখন কাটছাঁট করা হচ্ছে তখন আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের শিল্পের জন্য সহায়তা বৃদ্ধি করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভিয়েতনামের এফটিএ গত বছর কার্যকর হয়েছে, ফলে ইউরোপে তাদের শুল্ক প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে, যা ২০৩০ নাগাদ শুল্কমুক্ত হবে।

এই পরিবর্তন শিল্পের জন্য মোটেও সহায়ক ও সময়োপযোগী নয় দাবি করে এস এম মান্নান কচি আরো বলেন, বরং এটি শিল্পে অনাকাক্সিক্ষত ঝুঁকি ও বিপর্যয় ডেকে আনবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির অভিযোগ বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা : রুশ রাষ্ট্রদূত
পরবর্তী নিবন্ধইজারা বহির্ভূতস্থানে বালি উত্তোলন করে ব্যবসায়ী গুণল লাখ টাকা জরিমানা