হতাশায় শেষ হলো বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ অভিযান। ৯টি ম্যাচের ২টিতে জয় এবং ৭টিতে পরাজয় মেনে ফিরে আসতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
গতকাল শেষ ম্যাচে আরো একটি পরাজয় মানতে হলো তাদের। ৮ উইকেটে হার মেনেছে তারা অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর অনায়াস জয়ে সেমি–ফাইনালের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী ১৫ নভেম্বর তারা দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবেলা করবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলায়। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার টানা সপ্তম জয় এটি। পঞ্চাশ ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এটিই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২৯১ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। বড় হারের পরও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় আপাতত আট নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুতে আজ রোববার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে নেদারল্যান্ডস কোনো পয়েন্ট না পেলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকেট নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। গত চার বিশ্বকাপের প্রতিটিতে অন্তত তিনটি করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার তাদের যাত্রা শেষ হয়েছে স্রেফ দুই জয়ে। ১৯৯৯ আসরে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেও দুটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের আসর থেকে তারা ফিরেছিল বৃষ্টিতে পাওয়া ২ পয়েন্ট নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোন দলের বিপক্ষে তিনশোর্ধ্ব রানের ইনিংস গড়তে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল তাই ৩০৬ রানের পুঁজিটা খারাপ ছিল না। পুনেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল অন্ততপক্ষে লড়াই করতে পারবে টাইগাররা। কিন্তু হলো না সেই লড়াইটাও। এক মিচেল মার্শই যেন হারিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। তার ১৭৭ রানের হার না মানা ইনিংসে ৩০৭ রানের লক্ষ্যও অনায়াসে টপকে গেলো অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৮ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই। ম্যাচ সেরা হন মিচেল মার্শ।