তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী রাব্বি, ইরফান শুক্কুররদের মত তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল হার দিয়ে শুরুর করল এনসিএল টি–টোয়েন্টি। রংপুর বিভাগীয় দল ৫ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলকে। দীর্ঘ সাত মাস পর ক্রিকেটে ফিরে নিজের ফেরাটাকে স্মরণীয় করে রাখতে পারলেননা তামিম ইকবাল। তিনি আউট হয়েছেন মাত্র ১৩ রানে। রংপুর বিভাগের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং এর পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দারুণ সুচনা এনে দেয় রংপুরকে। অপরদিকে চট্টগ্রামের শক্তিশালী ব্যাটিং পারেনি নিজেদের শুরুটাকে জয় দিয়ে করতে। রংপুরের দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ আর আলাউদ্দীন বাবু প্রথম সেশনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মূলত তাদের কাছেই হেরে যায় চট্টগ্রাম। এই দুই পেসার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল বুধবার টসে হেরে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শুরুটা ভাল করতে পারেনি। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১২ বলে ১৪ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে চট্টগ্রামের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে রান আউটে। সাত মাস পর খেলতে নামা তামিম ফিরেছেন ১৩ রান করে। তাকে ফেরান আনামুল হক। পরের ব্যাটাররাও পারেনি দলের হাল ধরতে। অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি ফিরেছেন ১৮ বলে ১৯ রান করে। তবে অণ্যদের চাইতে কিছুটা সফল মোমিনুল হক। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৭ রান। আর ইরফান শুক্কুর করেন ১৯ বলে ২০ রান। এরপর বাকি কেউই বড় রান করতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটে ১৩২ রানেই আটকে যায় চট্টগ্রাম। রংপুর বিভাগের পক্ষে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ১৭ রানে ৩ টি উইকেট নিয়েছেন। আরেক পেসার আলাউদ্দীন বাবু ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রংপুর প্রথশ উইকেট হারায় ২২ রানে। ১২ বলে ১৫ রান করা রিজওয়ান ফিরেন রান আউট হয়ে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তানভীর এবং নাঈম ইসলাম মিলে যোগ করেন ৫১ রান। ১২ বলে ২৪ রান করা নাঈমকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। একই ওভারে আবদুল্লাহ আল মামুনকেও ফেরান হাসান মুরাদ। তবে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন তানভীর হায়দার। তার ৩৭ বলে ৪১ রানের উপর ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় রংপুর বিভাগ। অধিনায়ক আকবর আলি খেলেন ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস। এছাড়া আরিফুল হক ১২ রানে এবং আলাউদ্দীন বাবু ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৬.৫ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রংপুর বিভাগ। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ।