পেকুয়ায় বসতঘরের সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভাবিকে হত্যা করেছে দেবর আলী আহমদ। নিহত ভাবির নাম কোহিনুর আক্তার (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কোহিনুর পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আমির হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত দেবর আলী আহমদ (৩৫) মৃত পেঠান আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
নিহত কোহিনূর আক্তারের মেয়ে রোকেয়া বেগম বলেন, আমার চাচা আলী আহমদ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বসতঘরের সীমানার ওপর দেয়াল তুলে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু তাতে আমার মা বাধা দিয়ে আসছিলেন। এর জেরে চাচা আমার মাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে দেয়াল নির্মাণ করে বাড়ির ছাদের কাজ করছিলেন চাচা। আমাদের বাড়ির ছাদের সাথে তাদের বাড়ির ছাদ লাগিয়ে দেয়ায় আমার মায়ের সাথে তাদের কথা–কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে চাচা আলী আহমদ আমার মাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাদের উপরেই মেরে ফেলে।
নিহত কোহিনূর আক্তারের মা আছিয়া বেগম বলেন, খুনি আলী আহমদ এর আগেও আমার মেয়েকে ভয় দেখাতে এসিড নিক্ষেপ করেছিল। সর্বশেষ আজ আমার মেয়েকে বাড়ির ছাদের উপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এসময় তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, গৃহবধূ কোহিনুরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আঘাতের ধরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পেকুয়া থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) রুকনুজ্জামান বলেন, সুরতহালে নিহতের মাথায় ও বুকে ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার দৈনিক আজাদীকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।