নাম তার ফখরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সোর্স পরিচয়ে হাতকড়া নিয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি।
সুযোগ বুঝে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তার কাঙ্খিত দাবি পূরণ করতে না পারায় হয়রানির শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ করেছে অনেক ভুক্তভোগীর।
হাতকড়া নিয়ে তোলা তার শখের একটি ছবি আজাদীর হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যায় একটি হাতকড়া আর মামলার ফাইল হাতে ফ্রেমবন্দি তিনি। যেন মস্তবড় পুলিশ অফিসার। ধরণে বুঝা যায় নিজেই ইচ্ছাকৃতভাবে ছবিটি তুলেছেন অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
কথিত সোর্স ফখরুল ইসলামের হয়রানির শিকার অনেকে জানিয়েছেন তার কু-কীর্তির কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনি এক ভুক্তভোগী বলেন, কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে কিছু টাকা পয়সা দিতে বলে। দিতে না পারলে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। এরকম আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেও আমাকে ডেকে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। আমার স্বামীকেও হয়রানি করা হচ্ছে বার বার। আমি নিজে খেতে পাচ্ছি না উনাকে টাকা কোথায় থেকে দিবো। আমি এর বিচার চাই।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, অপর পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আবারো মামলা দেওয়ার হুমকি দেয় এবং টাকা দাবি করে। আপনারা জানেন অক্সিজেন এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি, অনেকের কাছ থেকে পুলিশের বড় সোর্স পরিচয়ে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে না পারলে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। কেউ ভালো পথে ফিরতে চাইলে ফিরতে পারছে না সোর্স ফকরুল চাদাবাজির কারণে।
এ ব্যাপারে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন চট্টগ্রাম জানায়, পাবলিকের কাছে হাতকড়া যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ব্যবহার করলে সেটা বেআইনি। আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপকর্ম করবে সেটা ছাড় দেওয়া যাবে না। উনাকে ধরে পুলিশে তুলে দেন। কেউ সোর্স পরিচয় দিয়ে হাতকড়া নিয়ে ঘুরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত সেই কথিত সোর্স ফখরুল ইসলাম বলেন, এটা অনেক আগের ছবি। স্যার নামাজ পড়তে ঢুকছিল, তখন হাতকড়া নিয়ে ছবি তুলছিলাম। আমি তখন না বুঝে তুলেছিলাম। এখন ভালো হয়ে গেছি। এখন সোর্স এর কাজ তেমন করি না।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক সময়েও মানুষকে হয়রানির করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন কাউকে মামলা দিই না। কারো থেকে চাঁদা নিই না। সোর্সের কাজ না করায় অনেকে আমাকে খারাপ মনে করছে। এজন্য হয়রানি করতেছে। আমি দোষ করি নাই।