হাটহাজারীর ধলইতে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প

হাটহাজারী প্রতিনিধি | সোমবার , ১২ মে, ২০২৫ at ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

দেশের প্রত্যন্ত এলাকার চর্ম রোগের উপসর্গ উদ্বেগজনক। রোগীদের মধ্যে স্কেবিস ও পাঙ্গাশ রোগ বেশী। ছত্রাক জনিত যাদের রোগ তাদের পুরো শরীরে রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হাটহাজারীর ধলই গ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পে উঠে আসে এসব তথ্য। গত শুক্রবার হাটহাজারীর ধলই গ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে জটিল রোগী চিহ্নিত করে সুস্থ করে তুলতে পারলে নতুন বাংলাদেশে সূদুরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন। ধলই ফেদাই চৌধুরী নুরানী মাদরাসা মিলনায়তনে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ডার্মাটোলজি ও ডা. সেকান্দর শাহ ফাউন্ডেশন। ক্যাম্পে প্রধান চিকিৎসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি অব ডার্মাটোলজি প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্রোভিসি প্রফেসর ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার, ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ডা. মাহাবুব উল আলম চৌধুরী, মা ও শিশু হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুন নাহার বিনতে মান্নান, বাংলাদেশ একাডেমি অব ডার্মাটোলজির ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি ডা. সাজিয়া আফরিনসহ চর্ম, মেডিসিন, ইএনটিসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা। এর আগে অতিথি চিকিৎসকদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেদাই চৌধুরী নুরানী মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কামরুল হাসান ও ডা. েসেকান্দর শাহ ফাউন্ডেশনের পরিচালক এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহ। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুন নাহার বিনতে মান্নান জানান, চিকিৎসা ক্যাম্পে তিনশো রোগীর মধ্যে দুইশো জন বহন করছে চর্ম রোগের বিভিন্ন উপসর্গ। রোগীদের মধ্যে স্কেবিস ও পাঙ্গাশ রোগ বেশী। ছত্রাক জনিত যাদের রোগ তাদের পুরো শরীরে রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক রোগ, ভাইরাস সংক্রামক রোগ এবং সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী। ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ডা. মাহাবুব উল আলম চৌধুরী জানান, এরকম ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগী সনাক্ত তাদের উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করতে পারলে নতুন বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ পাবেন। বাংলাদেশ একাডেমি অব ডার্মাটোলজি প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার বলেন, ডার্মাটোলজি চিকিৎসকরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামে রোগী সনাক্ত ও সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রগামী হয়ে আছে। এক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল ডার্মাটোলজিস্ট সোসাইটি ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনে তিনশো জনেরও বেশি রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। রোগীদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্করা ছিলেন উল্লেখযোগ্য। অনুষ্ঠানের সভাপতি মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেন এ আয়োজনটি সময়োপযোগী বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোধনের রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী আজ
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি নেতা বাদশা মিয়ার ইন্তেকাল