হাটহাজারীতে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ

দুই দফা প্রণোদনা ও মূল্যবৃদ্ধিতে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের

হাটহাজারী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৯ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারীতে ইরি বোরো ধান চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বিগত বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের মূল্য বৃদ্ধি, কৃষিতে সরকারের প্রণোদনার কারনেই কৃষকদের এ আগ্রহ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর এ উপজেলায় এই মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে ছিল ৩ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে। এবার এ উপজেলায় ৪ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এই পরিমান জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২০ হাজার ১ শ ৬০ মেট্রিক টন। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উচ্চ ফলনশীল ধান রোপন ও স্থানীয় জাতের ধানের চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে সরকার এবার কৃষকদের দুই দফা প্রণোদনা দিয়েছেন। অন্যান্য বছর সরকার একবার প্রণোদনা দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করতেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা শেখ আবদুল্লাহ ওয়াহেদ জানান, গত বছর উপজেলার এ উপজেলা ১৪ টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভা ও ১ টি সিটি করপোরেশন ওয়ার্ডের ৪৮ টি কৃষি ব্লকে ইরি বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে। এবার এসব কৃষি ব্লকে চাষাবাদ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে। অতিরিক্ত পরিমান জমিতে চাষাবাদের কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন প্রতি বছর সরকারিভাবে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হত একবার। এবার করোনা মহামারীর কারণে সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের কৃষি কাজে মনোযোগী করতে দুইবার প্রণোদনা দিয়েছেন। সরকারিভাবে প্রদত্ত প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের বীজ, প্রয়োজনীয় সার ও আধুনিক কৃষি পদ্ধতি। তাছাড়া এবার উপজেলার আওতাধীন বোলালিয়া স্লুইস গেইট খোলা এবং বন্ধ করার দায়িত্ব ছিল উপজেলা কৃষি বিভাগের। অন্যান্যবার এ দায়িত্ব পালন করতো পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে করে চাষাবাদের সময় জমিতে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া কষ্টকর হত।
অন্যদিকে এবার রাউজান, ফটিকছড়ির বিভিন্ন খাল ও ছড়ায় সেতুগুলো যথাসময়ে নির্মিত হয়ে গেছে। যেসব খাল ও ছড়ায় সেতু কালভার্ট নির্মাণের সময় জোয়ারের পানি বন্ধ রাখা হত। সে সমস্যা এবার নেই। ফলে কৃষি জমিতে প্রয়োজনের সময় এবার পানির সংকট নেই। উন্নত জাতের বীজ, আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাত ও স্‌হানীয় জাতের চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ নিরন্তর কাজ করছ। যে পরিমাণ জমিতে এবার ইরি বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে এর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ১শ ৬০ মেট্রিক টন। এ লক্ষ্য মাত্রার উৎপাদন থেকে আগামী মৌসুমে চাষাবাদের জন্য বীজ সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় কৃষকগণ বীজ কোথায় পাবে, উৎপাদিত ফসল থেকে শিশু ও পশু খাদ্য বাদ দিলে বাদবাকি যেগুলো অবশিষ্ট থাকবে সেগুলো মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করবে বলে কৃষি কর্মকর্তা উল্লেখ করেন। সর্বোপরি ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষক চাষাবাদে আগ্রহী হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধমেঘপাখির ডানা