হাটহাজারীতে পাইজা আক্তার হালিমা নামের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতা মো. নাছির উদ্দিন (৩৫) এবং ঘটনায় জড়িত মো. সাফায়েত হোসেন সাজিদ (১৬) নামে আরো দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে হাটহাজারী মডেল থানা আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এর আগে রবিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে মডেল থানাধীন মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ তাদের আটক করে।
আটক ঘটনার মূলহুতা আসামি মো. নাছির উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ জামছড়ি এলাকার মাহমুদুল বাড়ি মৃত মো. মাহমুদুল হকের এবং মো. সাফায়েত হোসেন সাজিদ শিকারপুর ইউপির পূর্ব শিকারপুরস্থ ২নং ওয়ার্ডের বাবলুর ভাড়াটিয়া মো.সামসুদ্দিনের পুত্র।
এর আগে শনিবার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের পিতা মো. আকবর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওইদিন রাতেই বাঁশখালী উপজেলার ৯নং শিলকুপ ইউপির ১নং ওয়াডস্থ পশ্চিম মনকিরচর (নোয়াঘোনা) মজিদ বাড়ির নুরুন নবীর পুত্র শিকারপুর এলাকার বাবলুর ভাড়াটিয়া ফোরকান (৩৫) কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলো পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন সুমন সোমবার রাতে দৈনিক আজাদীকে জানান, আটককৃতদের সোমবার দপুরে আদালতে সোপর্দ করার পর ঘটনার মূলহুতা আসামি মো. নাছির উদ্দিন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।