হাটহাজারীতে দুই সহোদরের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় আবুল হাসেম(৪২) নামে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিকে পুলিশ আটক করে আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) আদালতে প্রেরণ করেছে।
হাটহাজারীতে মসজিদ ও মাদ্রাসার আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে দুই সহোদরের ওপর প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হোসেন এলাহী বাচার(৪০) দাফন আজ শনিবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে।
আহত মোমেন এলাহী কালুর(৩৮) অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থানায় মামলা না হলেও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কালা বাদশাহ পাড়ায় সন্ধ্যায় দুই সহোদর একটি মুদির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় হঠাৎ চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে প্রতিপক্ষরা এসে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পরে ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তখন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে দুই ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
হোসেন এলাহী বাচাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মোমেন এলাহী কালুর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
নিহতের মেজভাই মহসিন জানান, স্থানীয় মসজিদ ও মাদরাসার আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে। খুনিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন এ ঘটনায় আবুল হাসেম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান।
তিনি আরো জানান, আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসাবে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।