ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চুক্তির প্রতিবাদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অংশ হিসেবে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাটহাজারী ডাক বাংলো চত্বরে মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির বলেন, দেশের ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামি দলগুলোর টানা প্রতিবাদ–বিক্ষোভ ও উদ্বেগ সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন চুক্তিতে সই করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল করতে হবে। মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এদেশে হতে দেওয়া যায় না। এটা এদেশের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত। তাছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতেই দেখা যায়। সেই অফিস এখন আমাদের দেশে হওয়াটা সম্মানজনক নয়। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় এই দেশে নানাবিধ সমস্যার জন্ম দেবে উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে হাটহাজারী উপজেলা জমিয়তের সভাপতি ও হেফাজতের সহকারী মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, এই কার্যালয় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে, পররাষ্ট্রনীতিতে সমস্যা তৈরি করবে, দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করবে, চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহিত করতে পারে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাদ বিন জাকির, মাওলানা আলি আকবর, এম ফুরকান আলি, সাব্বির বিন ফজলুল, হাফেজ সাইফুল ইসলাম, নাবিল আহমদ খান, মাহমুদুল হাসান মারুফ, আনোয়ার আল হাসান, মাহমুদ হাসান শাহ, শামিম চৌধুরী, নুর আহমদ রাইহান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল হাটহাজারী ডাক বাংলো থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি সড়ক ও চট্টগ্রাম–রাঙ্গামাটি রোড প্রদক্ষিণ করে হাটহাজারী মাদ্রাসার গেটে এসে শেষ হয়।