হাটহাজারীতে বসতঘর থেকে পায়েল মনি (১৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউপির ৫নং ওয়ার্ডস্থ বখতেয়ার মাঝির বাড়ির নিহতের বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত পায়েল মনি ওই বাড়ির গ্রাম পুলিশ আবুল কালামের পুত্র প্রবাসী রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত দুই বছর পূর্বে প্রবাসী রুবেলের সাথে উপজেলার ৮নং মেখল ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়াডের মন্নর দোকান এলাকার ছুবুর মিস্ত্রির বাড়ির পারভেজ বাচার কন্যা পায়েল মনির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গত দেড় দুইমাস আগে তার স্বামী রুবেল হোসেন জীবিকার তাগিদে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই গমন করেন। রুবেল হোসেন পিতা গ্রাম পুলিশ আবুল কালাম জানান, দুপুরের দিকে তিনি বাসায় এসে পুত্রবধূকে ফোনে কথা বলতে দেখেন। ফোন চেক করে দেখা যায় ফোনের অপর প্রান্তের মানুষটি তাদের অচেনা। তবে সে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেনা জানিয়েছে তাকে (শ্বশুরকে) এ ঘটনা তার (নিহতের) বাবাকে না জানানোরও অনুরোধ করেন। কিন্তু শ্বশুর আবুল কালাম ঘটনাটি তার বেয়াই পারভেজ বাচাকে (নিহতের বাবা) জানালে তিনিও ফোন করে তার মেয়ের সাথে কথা বলেন। পরে বিকাল তিনটার দিকে আমি পুনরায় কর্মস্থলে চলে যায়। বিকাল চারটার দিকে খবর আসে আমার পুত্রবধূ আত্মহত্যা করেছে। সাথে সাথে বাড়িতে গিয়ে বেয়াইকে খবর দিলে তিনি আসেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের বাবা রাউজান উপজেলার মোবারকখীল এলাকার ব্যবসায়ী পারভেজ বাচা জানান, আমার মেযের সাথে বেয়াইর পরিবারের কারো সাথে কোনো ঝামেলা ছিলো না তবে বেয়াইনের সাথে ঝগড়াঝাটি হতো। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নঈম উদ্দিন লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। মেখল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সৈয়দ মিয়া প্রকাশ সৈয়দ মেম্বার সোমবার জানান, নিহতের বাবা পারভেজ বাচার ফোন পেয়ে তিনি থানা পুলিশকে ঘটনা জানান। এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম সোমবার রাত নয়টার দিকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে থানায় নিয়ে আসি। আপাতত একটা অপমৃত্যু মামলা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে আসল ঘটনা জানা সম্বব হবে।