পূর্ব নির্ধারিত হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। নগরের পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। উপজেলার
সম্মেলন নগরে আয়োজন করা নিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে।
হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আজাদীকে বলেন, আমাদের নেতা (ব্যারিস্টার মীর হেলাল) ওমরা করার জন্য গেছেন। তিনি এলে হাটহাজারীতে সম্মেলন করা হবে।
এদিকে নগরে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে গত শনিবার উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশ বিবৃতি দিয়েছিল। গতকাল আরেক পক্ষ পাল্টা বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশনের একটি ওয়ার্ড এবং পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংগঠনিক নিয়ম মেনে প্রকাশ্যে কাউন্সিল অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা কাউন্সিল নির্ধারিত সময়ে হাটহাজারী উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে। এতে দলের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সকল সাংগঠনিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি আমন্ত্রণ পাবেন। যারা ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ও রাজপথ থেকে দূরে সরে রয়েছেন সুবিধা নেওয়ার জন্য। সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে দলের ক্ষতি করছেন।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মির্জা শহীদুল্লাহ প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। যুবদল নেতা এম ইলিয়াছ আলী হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রদল ও যুবদলের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। খাইরুন নবী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন।
বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নূর মোহাম্মদ, সদস্য সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম ও ডা. রফিকুল আলম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকের হোসেন, সদস্য সচিব মো. অহিদুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল শুক্কুর।